ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ক্যালরির অভাবের লক্ষণ, হতে পারে যে রোগ?


২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১০

ফাইল ছবি

কোষ্ঠকাঠিন্য, দূর্বলতা, ঘুমের সমস্যা, চুল পড়া হতে পারে ক্যালরির অভাবের লক্ষণ।

শরীরচর্চা, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এসবকিছুর মূল উদ্দেশ্য হলো ওজন কমানো, পক্ষান্তরে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ। এই দুইয়ের নির্ভুল মিশ্রণের ফলেই ওজন কমানোয় সফলতা আসে। তবে বেশিরভাগ সময় মানুষ খাদ্যাভ্যাস এতোটাই নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেন যে শরীরে ক্যালরি অভাব দেখা দেয়, আর মানুষ মনে করে এটাই আসলে ওজন কমাতে সহায়তা করছে। আসলে এই ধারণা ভুল এবং হতে পারে হিতে বিপরীত।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যনুসারে জানানো হলো কিভাবে বুঝবেন শরীরে ক্যালরির মাত্রা প্রয়োজনে তুলনায় কম।

কোষ্ঠকাঠিন্য: নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে বুঝতে হবে শরীরের আরও খাবার প্রয়োজন। শরীরের ক্যালরি এবং স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটয়ের চাহিদা পূরণ না হলে প্রথম উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। কারণ, পর্যাপ্ত খাবার না খাওয়ায় শরীর পর্যাপ্ত ভোজ্য আঁশ পাচ্ছে না। আর হজমতন্ত্রের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে এই আঁশ অত্যন্ত জরুরি।

শারীরিক দূর্বলতা: হঠাৎ করেই যদি শরীর ছেড়ে দেয়, দৈনন্দিন কাজ করতে অপারগতা দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালরি নেই, খাওয়ার সময় হয়েছে। সামান্য ডাল-ভাত, যাতে আছে পর্যাপ্ত প্রোটিন, খেয়েই ফিরিয়ে আনা যাবে কর্মশক্তি।

চুল পড়া: খাদ্যাভ্যাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমনটা বোঝার একটি অন্যতম ইঙ্গিত হলো চুল পড়া। ওজন কমা আর চুল পড়া একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তবে অতিরিক্ত হলে তা চিন্তার বিষয়। স্বাভাবিক স্বাস্থ্যোজ্জল চুল বজায় রাখতে চাই নানাবিধ পুষ্টি উপাদান, আর এদের অভাবে শুরু হতে পারে চুল পড়া।

শীতল অনুভূতি: ওজন কমানোর জন্য বিশেষ খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করাকালে যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শীত অনুভব করেন তবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এর কারণ হলো শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরি পোড়ানোর প্রয়োজন হয়।

ঘন ঘন অসুস্থতা: প্রায়ই অসুস্থ হয়ে গেলে তার পেছনে পুষ্টিহীনতা দায়ি। কার্বোহাইড্রেট চর্বি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খাদ্য ‍উপাদান বাদ দেওয়ার কারণে শরীর বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থেকে বঞ্চিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ফলে মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে সহজেই।

ঘুমের সমস্যা: রাতে ঘুম হচ্ছে না? এর কারণ হয়ত অভুক্ত থাকা। পুষ্টিহীনতার কারণেও অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। ঘুম আর ক্ষুধা পরস্পর সমম্পর্কযুক্ত, তাই আধভরা পেট নিয়ে রাতে ভালো ঘুম না হওয়াই স্বাভাবিক।

ওজন নিয়ন্ত্রণ ব্যহত: এতো কষ্ট করে না খেয়ে থেকে এবং শারীরিক কসরত করেও যদি ওজন না কমে, তবে সমস্যা ওজন কমানোর পদ্ধতিতেই। তাই খাদ্যাভ্যাসটি নতুন করে সাজাতে হবে, যেখানে থাকতে হবে সম্পূর্ণ এবং পুষ্টিকর খাবার।

মুড সুইং: মেজাজ যদি সবসময় তুঙ্গে উঠে থাকে, পান থেকে চুন খসলেই যদি মাথায় আগুন লাগে তবে আপনি ক্ষুধার্ত এবং সেকারণেই মেজাজ খিটখিটে। ওজন কমানোর জন্য ক্যালরি গ্রহনের মাত্রা হতে হবে শরীরের জন্য পর্যাপ্ত মাত্রায়, এতো কম নয় যে মেজাজ খারাপ হয়ে থাকে।

নতুনসময় / আইআর