ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


চুলের যত্নে সরিষার তেল


৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:২২

ফাইল ফটো

আমরা সাধারণত খাবারের স্বাদ বাড়াতেই সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকি। রুপচর্চাতে সরিষার তেলের জুড়ি নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ দূরীকরণে সরিষার তেলের কার্যকরিতা অপরিসীম। তবে শুধু ত্বকের রুপচর্চার ক্ষেত্রেই নয়, রমণীরা দীর্ঘ কালো চুল পেতে চাইলেও নিয়মিত ব্যবহার করুন খাটি সরিষার তেল। কারণ সরিষার তেল যে চুলের যত্নেও অতুলনীয় তা বলা বাহুল্য।


বায়ু দূষণ, পানি, রাসায়নিক ইত্যাদির প্রভাবে আমাদের চুল রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা ও চুল পড়া বন্ধ করায় যে সরিষার তেলের জুড়ি নেই তা অনেকেই জানেন না।

আসুন জেনে নিই চুলের উপকারে সরিষার তেলের কিছু ব্যবহার।

১. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার: সরিষার তেলে আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা চুল সুন্দর, স্বাস্থ্যজ্বল রাখে। এছাড়া আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের কন্ডিশনারের কাজ করে। ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

২. পুষ্টি জোগায়: আজকাল চুল পড়া খুবই সাধারণ সমস্যা। এর একটি কারণ হতে পারে চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া। চুলে নিয়মিত সরিষার তেল প্রয়োগ করলে ফলিকল মজবুত হতে সাহায্য করে, যা চুল পড়া বন্ধ করে।

৩. ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: সরিষার তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি মিনারেল এবং ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে, জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম থাকে। যা চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।

৪. রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে: আপনার চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল মালিশ করতে হবে। এর ফলে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকভাবে হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে যা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

৫. অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান বর্তমান: সরিষার তেলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকে,যা তা চুলের খুশকি ও চুলকানি দূর করে।

 

বড় চুল পেতে সরিষার তেলের ব্যবহার জেনে নিন:

১. দই ও সরিষার তেলের মিশ্রণ: টক দইয়ের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালভাবে লাগান। তোয়ালে গরম পানি ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার বা দু'বার প্রায় একমাস ধরে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

২. সরিষার তেল ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ: একটা পাত্রে সরিষার তেল ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালভাবে প্রয়োগ করে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে দুই দিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। এই মিশ্রণ আপনার চুল মসৃণ ও স্বাস্থ্যজ্বল করবে ও চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

৩. লেবুর রস ও সরিষার তেলের মিশ্রণ: একটা বাটিতে সরিষার তেল, লেবুর রস ও ধনে গুঁড়ো নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিয়ে তা মাস্ক হিসাবে চুলে নিয়মিত মাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল্কে কন্ডিশন করবে, মজবুত করবে এবং খুশকি দূর করে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।

৪. কলা ও সরিষার তেলের মিশ্রণ: একটা পাকা কলা নিয়ে চটকে নিয়ে তা সরিষার তেল ও দই এর সাথে মেশাতে হবে। এবার এই মিশ্রণটা ভালভাবে মাথার তালুতে লাগান এবং আধা ঘণ্টা পর সাধারণ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এই মিশ্রণটা আপনার চুল মসৃণ, উজ্জ্বল, মজবুত ও নরম করে তুলবে।

এল,এস