ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছে ফুলছড়ির মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া


১৬ জুন ২০১৯ ০৮:৪৮

ইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কঞ্চিপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছে। ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধের বৎসর সে সময় চাঁন মিয়া ছিল টকবগে যুবক।

পাকহানাদার ও এ দেশীয় দোষরদের অন্যায়, অত্যাচার, ধর্ষন হত্যা, লুণ্ঠন এসব মানবতা বিরোধী অপরাধ যখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ঠিক সে সময় চাঁন মিয়া দেশ মাতৃকার ডাকে এক অকুতোভয় যুবক। সবমিলে এদেরকে প্রতিরোধের নেশায় দেশ মাতৃকার ডাকে চাঁন মিয়া সবকিছু ফেলে রেখে চলে গেলেন মহান যুক্তিযুদ্ধে। ট্রেনিং নিলেন ভারতের কাকরীপাড়া ইয়থ ক্যাম্পে।

পরে সে তুরায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। সে সময় আলতাব সুবেদার, এনামুল হক, করম আলীর কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। এবার সম্মুখ সমরের পালা। মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া চলে এলেন দেশমাতৃকাকে মুক্তি করার জন্য। নেমে গেলেন যুদ্ধে। ১১নং সেক্টরের কম্পানী কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জু ও মুবিনুল হক জুবেল মিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় পাক হানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় রাজাকারদের প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। রনাঙ্গনে যুদ্ধের সময় ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী ঘাটে পাক হানাদারদের সাথে এক সম্মুখ যুদ্ধে সে অংশ গ্রহন করেন।

এই যুদ্ধে ফজলুপুরের মুক্তিযোদ্ধা ফজলু মিয়া শহীদ হন। পরে তার স্মৃতিকে অমলিন রাখার জন্য ফজলুপুর ইউনিয়ন নামকরণ করা হয়। এ রকম অনেক সম্মুখ যুদ্ধে সে প্রাণপণ লড়াই করেছেন। এ সব লিখে হয়তোবা শেষ করা যাবে না। সেই রনাঙ্গনের বীরমুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া বর্তমানে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছে। মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া তার সুচিকিৎসার জন্য প্রধান মন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ ও ডেপুটি স্পীকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।