ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


আটক ৪ শিক্ষার্থী নাশকতার মামলায় কারাগারে


৩ জানুয়ারী ২০১৯ ০৫:১০

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে আটক চার শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দণ্ডবিধির ১৪৮ (মারাত্মক অস্ত্র সজ্জিত দাঙ্গা বা নাশকতার অভিযোগ) ধারা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

শুনানি শেষে বুধবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. বাকী বিল্লাহ আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরা হলেন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের মো. বোরহান উদ্দিন, মানারাত ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল খালেক, ঢাকা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. সৈয়দ মোমিনুল হাসান ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ।

এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিল্লুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।

পুলিশের আবেদনে বলা হয়, আসামিরা বিএনপি-জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা বোমা-ককটেল তৈরি করে বিএনপি জামায়াতের নাশকতায় সহযোগিতা করে আসছিল। গত ১৭ ডিসেম্বর আসামিরা কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৩ নম্বর সেক্টরে তাঁতী লীগের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে। মামলার বাদী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ হাওলাদার ও রফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পরে। তাই তাদের কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আইনজীবী কবীরুজ্জামান জামিন শুনানিতে বলেন, নির্বাচনের আগে সাদা পোশাকে কিছু ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে চারজনকে তুলে নিয়ে যায়। তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত না। আমরা তাদের জামিন আবেদন করছি।

গত ১ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) মিলনায়তনে ওই চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা অভিযোগ করেন, ফার্মগেট এলাকা থেকে নির্বাচনের আগের দিন পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের তুলে নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনের পর ওইদিন সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই চার শিক্ষার্থীকে রাজধানীর কাফরুল থানায় হস্তান্তর করে।