ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার আসামি করার অভিযোগ


১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:২৮

সংগৃহীত

১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার আসামি বানানোর গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা হলেন মনির হোসেন ও বাচ্চু শেখ। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ ব্যবসায়ীক লেনদেনের সূত্র ধরেই তাদের নিকট চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দেয়াতে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনির হোসেন বলেন, মামুনুর রশিদ খান, ইন্ট্রার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর মার্কেটিং ম্যানেজার মোঃ মিঠু, বলরামপুর, পাবনা এদের সাথে ২০১৭ সাল থেকে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক শুরু হয়। বিশ্বস্তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে পাইকারী ক্রেতা হিসাবে আটা, ময়দা ক্রয় করে আসছি। সেখানে তাদের সাথে লাখ লাখ টাকার ব্যবসায় লেনদেন হয়। এক পর্যায়ে আমাকে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৬০ টাকার খারাপ মালামাল দেয়। সেই মালামাল আমি ইন্ট্রার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক পক্ষকে ফেরত প্রদান করি। কিন্তু মালিক পক্ষ সকল মালামাল গ্রহন করে আমাকে মালামাল বাবদ কোন টাকা ফেরত দেয়নি। বার বার তালব তাগাদা দেওয়ার পরেও এক পর্যায়ে মালিক পক্ষ বলে আমরা কোন টাকা পয়সা দিতে পারবো না। তোরা যা করার করে নিস এবং নানা হুমকি দেয়। এরপরে কোন উপায়ান্ত না পেয়ে আমি আইন ও আদালতের শরণাপন্ন হই। মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিএমএম আদালত ঢাকায় একটি সিআর মামলা দায়ের করি যার নং-১৯২৬/২০২২ যাহা এখনও চলমান আছে।

 

এ ঘটনায় প্রেক্ষিতে মালিক পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে পাবনা জেলার বিজ্ঞ আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করে যা বিচারে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। মামলাগুলো হলো-সিআর মামলা নং-৩৩২/২৩ পাবনা, পিটিশন মামলা নং-২৩৬/২৪ পাবনা, ২৪৬/২৪ পাবনা। 

এ ঘটনায় মালিক পক্ষ ক্ষুদ্ধ হয়ে আমি এবং বাচ্চু এর বিরুদ্ধে বৈষম্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুটি হত্যা মামলায় বিপুল টাকার বিনিময়ে এবং মামুনুর রশিদ খান, সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের মাধ্যমে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। এছাড়া এসব মামলায় ঐ কোম্পানীর পূর্বের ম্যানেজার মোঃ বাচ্চু শেখ নামের নিরিহ এবং কোন সময় ঢাকায় অবস্থান করেনি সেই ব্যাক্তিকে জড়ানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী বাচ্চু শেখ অভিযোগ করেন, ২০১৩ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ইন্ট্রার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এ সুনামের সহিত চাকুরি করি। গত ০৬/০৬/২০২৩ ইং তারিখে কোম্পানীর মালিক আমাকে প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে চাকুরি হতে অব্যাহতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে সে তাহার ইন্ট্রার ফ্লাওয়ার মিলের মার্কেটে বকেয়া টাকা উত্তোলনের জন্য আমাকে হুমকি প্রদান করে। আমি ভীত হয়ে তার বিরুদ্ধে পাবানাকোর্টে মামলা নং ২৯২/২০২৩ দায়ের করি। সেটা পুলিশ প্রতিবেদনে প্রমানিত হয়। 

তারা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা আমাদের ফোন ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়াতে হত্যার সঙ্গে কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্বেও মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।