ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


এনআইডি মামলায় ডা. সাবরীনার জামিন নাকচ


২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৫

তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) গ্রহণ করার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারী এই আদেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ডা. সারবীনার পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইসির মামলায় ডা. সাবরীনাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়ায় অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের বরখাস্তকৃত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।

এর আগে ডা. সাবরিনাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মমিনুল ইসলাম।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সাবরিনা কে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার এনআইডি নিয়েছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনো ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কিনা, থাকলে তা উদ্ধারসহ প্রকৃত ঠিকানা সংগ্রহ করে যাচাই, মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদসহ সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।

কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা বর্তমানে কারাগারে।

২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ডা. সাবরিনার জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর একটিতে জন্মতারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন সাবরিনা।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।