ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


সাহেদের প্রতারণায় ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিচ্ছে র‍্যাব


১৫ জুলাই ২০২০ ২২:৫০

ছবি সংগৃহীত

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেসব ভুক্তভোগীদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাবে) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাবের হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভুক্তভোগী যারা আমাদের কাছে আসছেন তাদেরকে আমরা আইনানুগ পরামর্শ দিচ্ছি। সহায়তা করছি, কীভাবে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় যাবেন বা আমাদের কাছে যদি আসতে চান আমরা সে সহায়তা প্রদান করছি।’

তিনি বলেন, ‘পালিয়ে থাকার সময় আমরা তাকে ফলো করেছি, সব পয়েন্ট যদি আমরা জানতে পারতাম তাহলে তখনই তাকে ধরতে পারতাম। আমরা যখনই জানতে পেরেছি এবং তাকে পিনপয়েন্ট করতে পেরেছি তখনই তাকে আমরা অ্যারেস্ট করেছি।’

ছয় মাস পরেই আবার বেরিয়ে আসবে এ ধরনের কথা সাহেদ বলেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার ঠিক জানা নেই। অনেক কথা বলেছেন, যেটা আমরা তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না। তদন্তের স্বার্থে এই কথাগুলো আমরা না বলাই শ্রেয় মনে করছি।’

এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আজকেই সাহেদ করিমকে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকাতে বেশ কয়েকজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় সাহেদ আশ্রয় নিতে চেয়েছিল এরকম কোনো কর্মকর্তার পরিচয় পেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে জানা নেই। আপনার কাছে থাকলে জানালে আমরা দেখব।’

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘কিছুদিন আগে গত ১২ জুলাই আমরা এস এস এ হসপিটালে অভিযান পরিচালনা করেছি। এই হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে এবং যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে আমরা তথ্য পাচ্ছি, সেখানেই আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে হোক বা বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তৎপর আছি।’

তিনি বলেন, ‘মামলার যিনি তদন্ত কর্মকর্তা আমরা তাকে হ্যান্ডওভার করব, পরবর্তী ব্যবস্থা মামলার তদন্তকারী অফিসার নিশ্চয়ই যিনি তদন্ত করবেন তিনি একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা তার মেধা, দক্ষতার আলোকে এবং আইনের আলোকে উনি তার ব্যবস্থা নেবেন।’

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটা মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে আমরা দেখছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাদের যেটা দরকার, তাদের যে ট্রার্মস অফ রেফারেন্স আছে সে অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করছেন।’

সাহেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে এরকম একটা ছবি তোলার মধ্য দিয়ে র‍্যাব কতটুকু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে- জবাবে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, ‘এটা আমি দেখিনি, এটা পরে দেখে আমরা বলতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। যেখান থেকে আমরা তথ্য পাচ্ছি যাচাই-বাছাই করে এই ৬ তারিখের পরে ১২ তারিখেও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু এবং এটাতো একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেখানেই আমরা সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছি সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

র‌্যাবের ডিজি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, তাকে গ্রেফতারের পর আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তারপর ঢাকায় এসেছি। ঢাকাতেও তাকে নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা উল্লেখ করেছি যে, আমরা জাল টাকা উদ্ধার করেছি। আমরা যে তথ্য পাই এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিব্রত বোধ করতাম, তাহলে তো তাকে অ্যারেস্ট করে আনতাম না। বিব্রত বোধ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমাদের কাছে মামলার তদন্ত গ্রহণের জন্য যে প্রক্রিয়া আছে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা আমাদের কার্যক্রম গ্রহণ করছি।’