বোমাবাজি-গুলি-ভাঙচুরে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত। দুষ্কৃতীকারীদের তাণ্ডব, বোমাবাজি, গুলি, ভাঙচুর, বাড়িতে আগুন, রাস্তা অবরোধ শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির রাজনৈতিক দলগুলির দিকেই।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড়ে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর জয়ের পরই বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। তৃণমূলের আরাবুল বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই হামলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নীরব দর্শক হয়ে থাকার অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।
ভোট পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমডাঙা থানা এলাকায়। এখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলপ্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমডাঙায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল সমর্থকেরা। অভিযোগ, সিপিএমের লোকজন রাতারাতি বিজেপি হয়ে তৃণমূলের উপর হামলা চালিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল আমডাঙা।
তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এবং বাঁকুড়ার শালতোড়া অঞ্চলেও। বর্ধমানের কালনা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে রাজনৈতিক হিংসার খবর। অভিযোগ, ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এক বিজেপি কর্মীকে। এখানে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
এ ছাড়া রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে উত্তপ্ত কোচবিহারের সিতাই, মাথাভাঙা এবং শীতলকুচিতে। ব্যাপক গন্ডগোলের ঘটনা শোনা যাচ্ছে উত্তপ্ত পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহার এবং পাট সাতরা গ্রামেও। পুরুলিয়াতে একটি শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটলেও তা কী কারণে হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নতুনসময়/এনএইচ