ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করলেন বাবা


৭ মে ২০১৯ ২১:১৪

ভিন্ন জাতের এক ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে ভারতের মহারাষ্ট্রে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করলেন এক পাষণ্ড বাবা। রুকমিনি রমা ভারতীয়া (২৩) এবং তার স্বামী মাংগেস চন্দ্রকান্ত রানাসিংকে (২৩) বাবা ও স্বজনরা মিলে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান রুকমিনি।

অপরদিকে তার স্বামীর শরীরের ৪০ শতাংশই আগুনে পুড়ে গেছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।

রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুণের একটি হাসপাতালে মারা যান রুকমিনি রমা ভারতীয়া। এ ঘটনায় সুরেন্দ্রকুমার এবং গানসিয়াম নামে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুকমিনি রমা ভারতীয়া মারা যাওয়ার সময় দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরিবারের দেওয়া আগুনে তার ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। এদিকে অনার কিলিংয়ের শিকার হয়ে তার স্বামী আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, তাদের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি পরিবারের লোকজন। সেই ক্ষোভ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে অনার কিলিং হিসেবে উল্লেখ কররা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা বিজয় কুমার বলেন, রুকমিনি রমা ভারতীয়া ভিন্ন জাতের তরুণ মাংগেস চন্দ্রকান্ত রানাসিংকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের এ বিয়ে মেনে নিতে না পরিবার। যার ফলে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে দুই পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন রানাসিং এবং রুকমিনি। গত ২৮ এপ্রিল নিগোজ গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রুকমিনি। এরপর গত ১ মে স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে নিতে এসেছিলেন রানাসিং। সে সময় রুকমিনির বাবা এবং চাচারা মিলে তাদের দু'জনকে একটি রুমে আটকে রাখে। এরপর ওই রুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।

প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে এবং পুলিশে খবর দেয়। তবে এই ঘটনার পেছনে দায়ী ব্যক্তিরা পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পুণের সাসোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রুকমিনিকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।


নতুনসময়/এনএইচ