ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'ফণী', তাণ্ডবের আশঙ্কা


২ মে ২০১৯ ০১:৫৪

ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘ফণী’। ঘণ্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঝড়। বাতাসে সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘ফণী’-র তাণ্ডবে তছনছ হতে পারে ওড়িশা। ইতিমধ্যেই ঝড়ের মোকাবিলা করতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এই পড়শি রাজ্যে।

এদিকে, গরমে রীতিমতো গলদঘর্ম পশ্চিমবঙ্গ। হাঁসফাঁস গরমে বাংলায় ঠান্ডা পানি ঢালবে ‘ফণী’ই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ৩ ও ৪ মে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে ‘ফণী’-র দৌলতে বৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গে স্বস্তি মিললেও, দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি এ রাজ্যেও তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে ‘ফণী’। শনিবার ঘণ্টায় প্রায় ১১৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের মুখে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্র ও শনিবার ফণীর প্রভাবে রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩ মে কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পরের দিন, শনিবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, এবং ঝাড়গ্রামে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে যেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে, তেমনই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতেও ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়ো হাওয়া। শুক্রবার হাওয়ার বেগ আরও বাড়তে পারে। সেদিন ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়ো হাওয়া। তবে শনিবার সম্ভবত আরও বাড়বে ঝড়ের বেগ। ৪ মে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১৫ কিলোমিটার হতে পারে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই সব মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার পরামর্শও দেয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে, ওড়িশায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে ফণী। ইতিমধ্যেই পুরী থেকে পর্যটকদের সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব সামাল দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কাজ শুরু করেছে ভরতীয় প্রশাসন।


নতুনসময়/এনএইচ