ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


সিনাগগে বন্দুক হামলায় ১৯ বছরের যুবককে আটক


২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৫

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের একটি উপাসনালয়ে বন্দুক হামলায় একজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ জন আর্নেস্ট নামে ১৯ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করেছে।

পুলিশ বলছে, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ডিয়েগোতে একটি সিনাগগে শনিবার একজন বন্দুকধারী আক্রমণ করলে একজন নারী নিহত হয়েছেন। কী কারণে হামলা করা হয়েছে এ বিষয়ে মার্কিন পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এটা ঘৃণাসূচক অপরাধ’ বলেই মনে হচ্ছে।

পিটসবার্গে বন্দুক হামলার ঠিক ছয় মাসের মাথায় সিনাগগে এই হামলাটি চালানো হলো। গত বছরের অক্টোবরের ওই হামলায় মোট ১১ জন নিহত হয়। সেই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ইহুদীবিদ্বেষী আক্রমণ হিসেবে বলা হচ্ছে ।

সান দিয়াগো কাউন্টি পুলিশের কর্মকর্তা শেরিফ বিল গোর সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা এখন হামলাকারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখছে।

তিনি বলছেন, হামলাকারী সেখানে ইহুদীবিদ্বেষী যে ‘খোলা চিঠি’ প্রকাশ করেছেন; সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে অনলাইনে ওই চিঠিটি পোস্ট করা হয়। চিঠির লেখক হিসেবে আছে জন আর্নেস্ট বলে এক ব্যক্তির নাম।

তিনি লিখেছেন, ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলার ঘটনা থেকে তিনি এ হামলা চালাতে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। পিটসবার্গের ট্রি অফ লাইফ সিনাগগের উপর হামলাও তাকে উৎসাহিত করেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, গত মাসে একটি মসজিদে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তেও মি. আর্নেস্ট তাদের নজরে ছিল। শেরিফ গোর বলেন, ‘হামলায় চার ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদেরকে পালমর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মধ্য থেকে একজন মারা যান। অন্যদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

শহরের মেয়র স্টিভ ভস জানিয়েছেন, হামলায় সিনাগগের র‍্যাবাই আহত হয়েছেন। তার হাতে গুলি লেগেছে। শেরিফ গোর বলছেন, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরের কিছুক্ষণ আগে পুলিশকে এই হামলার কথা জানানো হয়।

তিনি আরও জানান, বন্দুকধারী এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে হামলাটি চালিয়েছে। হামলার সময় দায়িত্বরত ছিলেন না এমন একজন পুলিশ সন্দেহভাজন হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন। সে সময় তিনি একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

পরে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ বলছে, হামলাকারী হাত দুটি উপরে তুলে গাড়ি থেকে বের হয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরপরই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে, তাকে যখন হেফাজতে নেওয়া হয় তখন সামনের প্যাসেঞ্জার সিটে একটি বন্দুক দেখা গেছে। পরে হতাহতের স্মরণে সেখানে একটি প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উইসকন্সিনে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটা একটা ঘৃণাসূচক অপরাধ এবং এতে আমেরিকার হৃদয় আক্রান্ত হয়েছে। ইহুদিবিদ্বেষী এই হামলা ও ঘৃণার আমরা তীব্র নিন্দা করছি এবং তাদেরকে পরাজিত করতে হবে।

নতুনসময় / আইআর