ঢাকা শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


এগিয়ে মোদি বলছে জরিপ


১০ এপ্রিল ২০১৯ ২১:৫২

ফাইল ছবি

ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি আবার সরকার গঠন করবে কি না এর স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যাবে ২৩ মে। গোটা দেশে মোট সাত দফায় ভোট গ্রহণের পর ওই দিন গণনা ও ফলপ্রকাশ হবে।

তবে এর আগে, সব জনমত সমীক্ষাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, আরও পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও অধিকাংশ সমীক্ষার মতে, অমিত শাহ যাই দাবি করুন, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি। তবে এনডিএ-র শরিকদের সমর্থন নিয়ে অনায়াসে সরকার গড়তে পারবেন মোদি। অর্থাৎ শরিকদের সমর্থন নিয়ে ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২ ছুঁয়ে ফেলতে পারবে বিজেপি।

দেখে নেওয়া যাক পৃথকভাবে জনমত সমীক্ষাগুলো কী বলছে?

সি ভোটার

এদের সমীক্ষার মতে লোকসভা ভোটের তুলনায় বিজেপি তথা এনডিএ-র আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো ৩৩০টি আসন পাবে না। বরং তা কমে গিয়ে এবার পেতে পারে ২৬৪টি আসন। এরপর অবশ্য চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস বা জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে ফেলতে পারে সি ভোটার।

সি ভোটার আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলার পর মোদির জনপ্রিয়তা দুম করে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ৫২ শতাংশ মানুষ বলছেন, তারা মোদির কাজে খুশি।

টাইমস নাউ – ভিএমআর

এই সমীক্ষার হিসাবে অবশ্য কোনো ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়নি। ভিএমআর-এর বক্তব্য, এনডিএ হলো প্রাক নির্বাচন জোট। সেই হিসাবে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এই জোট লোকসভা ভোটে মোট ২৭৯টি আসন পেতে পারে। যা ম্যাজিক সংখ্যার থেকে বেশি। তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট অনেক দূরের গ্রহ,-তারা পেতে পারে ১৪৯টি আসন। সপা, বসপা, তৃণমূল, বিজু জনতার মতো দল মিলে আরও ১১৫টি আসন জিততে পারে।

ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স

২০১৪ সালের ভোটের তুলনায় বিজেপি-র আসন কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই সমীক্ষাও। তাদের দাবি, গত লোকসভা ভোটের তুলনায় এবার ৫২টি আসন কম পেতে পারে বিজেপি। তারা পেতে পারে ২৩২টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৯৭টি আসন। ফলে এমনিতেই সরকার গঠনের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে বিজেপি। তাদের প্রাপ্ত আসনের সঙ্গে শরিকদের আসন সংখ্যা যোগ করলে তা টায় টায় ম্যাজিক সংখ্যা তথা ২৭২ ছুঁয়ে বলবে বলেই সিএনএক্সের মত।

লোকনীতি-সিএসডিএস-দ্য হিন্দু

এদের সমীক্ষার মতে এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি এবং কংগ্রেস ,- দুজনেরই ভোট চার শতাংশ করে বাড়বে। তবে এই বাড়তি ভোটের জন্য কংগ্রেস আসন বাড়াতে পারলেও, বিজেপি-র আসন সংখ্যা আগের থেকে বাড়বে না। কারণ, বেশ কিছু রাজ্যে বিরোধী ভোট এককাট্টা হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটের জন্য সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বিজেপির।

তবে লোকনীতির পুর্বানুমান হলো, এরপরেও বিজেপি ২২২ থেকে ২৩২টি আসন একার ক্ষমতায় জিততে পারে। শরিকদের সমর্থন যোগ করলে এনডিএ পেতে পারে ২৬৩ থেকে ২৮৩টি আসন। তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ১১৫ থেকে ১৩৫টি আসন।

বলে রাখা ভালো, জনমত সমীক্ষা যে সব সময় সঠিক পুর্বানুমান করতে পেরেছে তা নয়। তার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত কোন সময়ে সমীক্ষাটি করা হচ্ছে? দ্বিতীয়ত, স্যাম্পল সাইজ কতটা বড়? অর্থাৎ কত জনের সঙ্গে সমীক্ষকরা কথা বলেছেন? গোটা দেশের মুড ঠিক ঠাক ধরা গিয়েছে কি না ইত্যাদি।

তবে সমীক্ষকদের মতে, এটা ঠিকই যে, হুবহু আসন সংখ্যা মিলিয়ে দেওয়া কঠিন। তবে সবকটি জনমত সমীক্ষার পুর্বানুমান টেবিলে ফেললে দেখা যাবে, তা সার্বিক ভাবে দেশের মুড তুলে ধরছে। এবং এবার সেই মুড হলো, এখনো মোদির বিকল্প তৈরি হয়নি কেন্দ্রে। আরও একবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।