রাশিয়ায় অনাথ কিশোর-কিশোরীদের নিয়োগ, দেয়া হচ্ছে অস্ত্র ওপ্যারাশুট প্রশিক্ষণ

রাশিয়ায় কিশোর বাহিনী গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। বর্তমানে ওই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা তিন লাখ তিপ্পান্ন হাজার। প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী বছরের মধ্যে কিশোর বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দশ লাখ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কিশোর বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দশ লাখ ছুঁয়ে ফেলবে। এই বাহিনীতে মূলত অনাথ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়োগ করে মেশিন গান চালানো ও প্যারাশুট করে অবতরণের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
পুতিন বিরোধীরা বলছেন, নাৎসি জার্মানিতে অ্যাডলফ হিটলারেরও কিশোর বাহিনী ছিল। সোভিয়েত যুগেও অনাথ কিশোর-কিশোরীদের সেনাবাহিনী অথবা কেজিবি-তে নিয়োগ করা হত।
এমন বাহিনী গঠন অনৈতিক হলেও পুতিন প্রশাসনের দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ফলে দেশে সামরিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে।
রাশিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ সম্প্রতি বলতে শুরু করেছিলেন, দেশের শিশু-কিশোরেরা মেশিন গানকে ভয় পায়। এমনকি, কীভাবে গ্রেনেড ছুড়তে হয়, তা-ও জানে না।
রাশিয়ায় শিশু বিষয়ক বিতর্কিত অম্বুডসমান আনা কুজ়নেৎশোভা অবশ্য কিশোর বাহিনীতে অনাথ কিশোর-কিশোরীদের নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ওই কিশোর-কিশোরীদের হয়ে প্রতিবাদেরও কোনও সুযোগ নেই। কারণ, তারা সরাসরি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে।
শিক্ষামন্ত্রী ওলগা ভাসিলিয়েভার মতে, দেশকে বিভিন্ন হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। শান্তিকামীরা কবিতা এবং ছবি আঁকার ব্রাশ দিয়ে মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে পারবে না।
নতুনসময় / আইআর