নিউজিল্যান্ডে দুই মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪০

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদসহ পৃথক এক স্থানে সিরিজ সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। দলের খেলোয়াড়েরা হামলা হওয়া মসজিদ আল নুরের খুব কাছের এক মাঠেই অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলন শেষে তারা মসজিদটিতে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে অবস্থিত আল নুর মসজিদসহ লিনউড অ্যাভিনিউয়ের একটি মসজিদে ও অন্য একটি স্থানে হামলা করা হয়।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে শনিবার (১৬ মার্চ ) বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে হামলার কারণে সে ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নে এই হামলাকে ‘নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলির মধ্যে’ একটি বলে অভিহিত করেছেন।
জানা যায়, নামাজ শুরুর ঠিক ১০ মিনিট পর একজন বন্দুকধারী সেজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্টাফ ডট কো জানিয়েছে। এরপর জানালার কাচ ভেঙে হামলাকারী পালিয়ে যান।এ হামলায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলার সময় মসজিদে অন্তত ৩শ’ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল নুর মসজিদে হামলাকারী মিলিটারি পোশাক পরে প্রবেশ করেন। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে তিনি মসজিদে নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এরপর পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ বছর বয়সী হামলাকারীর নাম ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। তিনি অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত।
হামলার ঘটনায় এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরাও হ্যাগলি ওভাল মাঠে অনুশীলন শেষে আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। খেলোয়াড়রা সেখানে গিয়ে শুনতে পান মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এরপর তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মাঠের দিকে চলে যান।
হামলার পর টুইটার বার্তায় নিজেদের নিরাপদ থাকার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
হামলার পর ক্রাইস্টচার্চে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হামলা হওয়া মসজিদ দু’টিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জনসাধারণকে সেখানে সেখানে প্রবেশ না করতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে হামলার পর ক্রাইস্টচার্চের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।