ঢাকা সোমবার, ৭ই এপ্রিল ২০২৫, ২৫শে চৈত্র ১৪৩১


বেনাপোল কাস্টমস সুপারের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের লিখিত অভিযোগ


১৯ নভেম্বর ২০১৮ ২৩:৫১

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায় অসৌজন্যমূলক আচরণের লিখিত অভিযোগ করেছে ভারতীয় নাগরিক দিলীপ বসু। দিলিপ বসু ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শিমুলতলা গ্রামের অনাথ বসুর ছেলে। তার পাসপোর্ট নং জেড-৪৮৭৩৪৩৯।

দিলিপ বসু তার লিখিত অভিযোগে জানায়, সে বাংলাদেশে ২ টি দুটি কম্বল ও স্যাম্পু সহ ৪ কেজি ওজনের কসমেটিক্স নিয়ে কাস্টমসে প্রবেশ করে পার হওয়ার পর তাকে সুপার সালাউদ্দিন ডেকে বলে তোর নিকট কি আছে। তখন সে তার পন্য দেখালে সালাউদ্দিন ১০০০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। এ ঘুষের টাকা সে না দিতে চাইলে তার পন্য রেখে দিয়ে একটি মেমো হাতে ধরিয়ে দেয়। যার নং ২৪৬১। এছাড়া তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে নিষেধ করে। তোরা ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করবি না। তোদের পাসপোর্টের বাংলাদেশে কোন মুল্য নেই।

দিলিপ বসু আরো জানায় তাকে ডেপুটি কমিশনার জাকির সাহেব ডেকে তার মোবাইল পাসপোর্ট আটকিয়ে রাখে। তিন ঘন্টা আটকে রেখে তাকে মোবাইল ও পাসপোর্ট দিয়ে দেয়। এবং তার মোবাইলে থাকা বাংলাদেশী মোবাইল নং সাদা কাগজে তুলে সেখানে কাস্টমস লেখে আমি বাংলাদেশে প্রবেশ করে এসব মোবাইল নং এর লোকের সাথে যোগাযোগ করে পন্য বিক্রি করে থাকি। এরপর আমাকে দিয়ে জোর করে স্বাক্ষর করে নেয়।

দিলিপ বসু ক্ষোভের সাথে বলে আমি যার কাছে বিচার চাইলাম সে বিচার না করে আমার উপর উল্টো হয়রানি করল।

অপরদিকে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আসা অমিত ঘোষ বলেন, আমি দুটি কম্বল নিয়ে আসলে আমার নিকট থেকে কাস্টমস (এ আর ও ) আমিনুর রহমান ৫ শত টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। আমার পাসপোর্ট নাং জেড-৪৩০৩০৯০।

দিলিপ বসু তিন ঘন্টা পর পাসপোর্ট পেয়ে ভারত যেয়ে ফোন দিয়ে বলে আমাকে দিয়ে আরো অনেক কিছু মিথ্যা কথা লিখিয়ে নিয়েছে। এবং বলেছে আমার পাসপোর্ট ব্লক করে দিবে। আমি যদি আর বাংলাদেশে না যেতে পারি তাহলে আপনারা পত্রিকায় রিপোর্ট করবেন না।

এ ব্যাপারে সুপার সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রীদের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে যদি পণ্য পাওয়ার উপযুক্ততা থাকে তবে তাকে দিয়ে দিব। কিন্তু যে পাসপোর্টে পন্য পাবে না তাকে দেওয়া হবে না। আইনগত ভাবে যে যতটুকু পাবে তাকে ততটুকু দেওয়া হবে।

এমএ