ঢাকা সোমবার, ৭ই এপ্রিল ২০২৫, ২৫শে চৈত্র ১৪৩১


৫ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কায় ভোট:প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা


১০ নভেম্বর ২০১৮ ২০:০৫

ফাইল ফটো

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা হঠাৎ করে নির্ধারিত মেয়াদের দুই বছর আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গতকাল শুক্রবার রাতে ঘোষনা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।রয়টার্স।

সংসদ ভেঙে দেওয়া বলতে প্রেসিডেন্ট একটি গেজেটে স্বাক্ষর করেছেন এবং তাতে বলা আছে আগামী ১৭ জানুয়ারি আবার পার্লামেন্ট বসবে। তবে প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তে আদালত বাগড়া দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে বরখাস্ত করেন।এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রভাবশালী নেতা মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে নিযুক্ত করেছে।এতে শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিক সংকটের সূত্রপাত শুরু হয়।

সিরিসেনা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পার্লামেন্টও স্থগিত করেন ।ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের দেশটির সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাঁকে আটকাতেই সংসদ স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।এবার পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন তিনি।

বিক্রমসিংহে অবশ্য নিজেকে এখনো প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন।বরখাস্তের আদেশের পর সংসদ অধিবেশন আহ্বান করতে স্পিকারের প্রতি আবেদন জানান তিনি। তাঁর দাবি একমাত্র পার্লামেন্টই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার অধিকার রাখে।সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনও নিজের দখলে রেখেছেন বিক্রমসিংহে।

শ্রীলঙ্কার আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের শুরুর দিকে সাড়ে চার বছর শেষ করে বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এর আগে শুধু গণভোট বা দুই –তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের মতের ভিত্তিতে সংসদ স্থগিত বা ভেঙে দেওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়। তবে সিরিসেনার দলীয় আইনজীবীরা জানান, এমনটি করার সুযোগ তাঁর রয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন অবশ্য নির্দেশ মোতাবেক নির্বাচন আয়োজনের আগে সুপ্রিম কোর্টের মতামত জানতে চাইবে।

বিক্রমসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)প্রথমে নির্বাচন কমিশনকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে এবং পরে তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছেও যাবে।