ঢাকা মঙ্গলবার, ১লা এপ্রিল ২০২৫, ১৯শে চৈত্র ১৪৩১


ট্রাম্পের চাপে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএমইএসের নেতাদের বরখাস্ত


৩০ মার্চ ২০২৫ ১০:২৫

সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন কেন্দ্রের (সিএমইএস) ফ্যাকাল্টির নেতৃবৃন্দকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

 

দ্য হার্ভার্ড ক্রিমসন রিপোর্টে জানিয়েছে, সিএমইএস-সামাজিক বিজ্ঞানের অন্তর্বর্তীকালীন ডিন ডেভিড কাটলার সিএমইএসের পরিচালক, তুর্কি স্টাডিজের অধ্যাপক সেমাল কাফাদার এবং সহযোগী পরিচালক, ইতিহাসের অধ্যাপক রোজি বাশিরকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য অধ্যাপক সালমান কেশবজি কেন্দ্রের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে কাফাদার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ছুটিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

কফাদার এবং বশীর তাদের শিক্ষকতার পদে বহাল থাকবেন।

 

সিএমইএস সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কিছু সমালোচনার মুখে পড়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রটি অ্যান্টিসেমিটিক প্রোগ্রামিং এবং ইসরাইলি দৃষ্টিভঙ্গির পর্যাপ্ত ভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে, হার্ভার্ড তার বিতর্কিত প্রোগ্রামগুলো থেকে নিজেদের দূরে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

 

এই বিতর্কটি তখনই জোরালো হয়, যখন ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেইসব প্রোগ্রাম সংশোধন বা বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে, যেগুলো তারা সমস্যাযুক্ত মনে করে। কিছু অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এসব দাবি অনুযায়ী পরিবর্তন আনার পদক্ষেপ নিয়েছে।

 

হার্ভার্ডের স্কুল অব পাবলিক হেলথ সম্প্রতি বারজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের গবেষণা অংশীদারিত্ব স্থগিত করেছে, যা পশ্চিম তীরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বারবার এই সম্পর্কটি বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

 

এছাড়াও, মে মাসে হার্ভার্ড জিউইশ এলামনি অ্যালায়েন্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে সিএমইএসকে ইসরাইলকে একটি উপনিবেশবাদী বসতি রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রিত করা, জাতিগত বৈষম্য, আপার্টহেইড এবং গণহত্যার মতো অভিযোগ তোলা হয়। 

 

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রটি ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সংঘাতের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েছে, যা অন্যান্য আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর তুলনায় বেশি মনোযোগ পেয়েছে। এতে কফাদারের ছাত্রদের কাছে প্র-ফিলিস্তিনি দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করার অভিযোগও রয়েছে।

 

এতে অভিযোগ করা হয়েছে, কাফাদার শিক্ষার্থীদের কাছে ফিলিস্তিনিপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে অভিযোগ যে কাফাদার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছিলেন।

 

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর