অ্যাটর্নি জেনারেলকে ছেঁটে ফেললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর দিনই রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে ছেঁটে ফেললেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে নিজের টুইটবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার স্থলে চিফ অব স্টাফ মাথ্যু হুইটাকেরকে এ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। খবর বিবিসি।
টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন- সেশনসকে এতদিন দায়িত্ব পালন করার জন্য ধন্যবাদ। তার মঙ্গল কামনা করছি। সেশনসকে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার স্থানে চিফ অব স্টাফ মাথ্যু হুইটাকেরকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি আমাদের দেশের জন্য আরও ভালো কাজ করবেন। হুইটাকের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন।
তবে সেশনস’কে বরখাস্তের ঘটনাটি যে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই ঘটেছে তা মোটেও নয়। তারিখবিহীন একটি পদত্যাগপত্রে স্পষ্ট ধরা পড়েছে যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি তিনি। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সেশনস। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার পক্ষে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের ব্যাপারে বিচার বিভাগের তদন্ত নিয়ে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন।
প্রসঙ্গত, শীর্ষ এ আইনপ্রণেতার সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রীয় প্রধান আইন কর্মকর্তার পদে সেশনসকে যে ট্রাম্প সহ্য করতে পারছিলেন না, সেটি স্পষ্টই বোঝা গেছে বিভিন্ন সময়ে তার দেয়া বক্তব্যে।
আলাবামার সাবেক এ সিনেটর আগে ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন- ‘প্রিয় প্রেসিডেন্ট আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার সময় আমরা আইনের শাসনকে বলবত রেখেছি।’
সেশনসের সঙ্গে ট্রাম্পের বিবাদের শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। তখনই সেশনস রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত হচ্ছিল, সেখান থেকে সরে আসেন। এবং এ দায়িত্ব তার অধীনস্থ রড রোজেনস্টেইনকে দেন।
এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে নানা ধরনের সমালোচনামূলক কথা বলতে থাকেন প্রেসিডেন্ট। ২০১৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি তদন্ত থেকে সরে যাবেন এ কথা আমাকে আগে বললে তাকে এই দায়িত্ব দিতাম না। আমি অন্য কাউকে এই দায়িত্ব দিতাম।
আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল, নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের পরেই হয়ত সেশনস’কে বরখাস্ত করা হতে পারে। আর সেটাই এখন সত্য হলো।
আরকেএইচ