ট্রাম্পের কঠোর নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে ইরান

সোমবার (৫ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে- তেলসমৃদ্ধ ইরানের ওপর ট্রাম্পের ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ নিষেধাজ্ঞা। ২০১৫ সালে ছয় জাতির সঙ্গে করা ইরানের পরমাণু চুক্তির পর যেসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তা পুনর্বহাল করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর ইরান ও দেশটি যেসব রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করে তারা এর আওতায় পড়বে। ইরানের তেল রপ্তানি, শিপিং এবং ব্যাংক অর্থাৎ তেহরানের অর্থনীতির কেন্দ্রে থাকা সব কিছুই এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার প্রতিবাদে রোববার দেশটিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকার মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। রোববারের এই বিক্ষোভ তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখলের ৩৯তম বার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত হলো।
এদিকে নিজেদের প্রতিরক্ষার শক্তি জানান দিতে সোমবার ও মঙ্গলবার বিমান মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের একটি প্রচারণায় যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসনের নীতির অধীনে ইরান ধুঁকছে।
তিনি বলেন, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা খুব শক্তিশালী। এটি এ যাবতকাল পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোরতম। এবং আমরা দেখবো ইরানের সঙ্গে কী ঘটে, কিন্তু তারা ভালো নেই, এটা আপনাদের আমি বলতে পারি।
এর আগে রোববার ফক্স নিউজকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, আমরা ইরানের জনগণকে সহায়তা করতে সতর্কভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের ক্ষতিকারক ব্যবহার পরিবর্তনের জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন, এটাই লক্ষ্য, এটাই মিশন এবং প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের এটি অর্জন করতে হবে।
উল্লেখ্য, সাতশোর বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জলযান এবং বিমানসহ প্রধান প্রধান ব্যাংক, তেল রপ্তানিকারক এবং শিপিং কোম্পানি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।