রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন দেখতে চায় ভারত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন দেখতে চায় ভারত। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে এরই মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। খুব সত্ত্বরই কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে প্রত্যাবাসিত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রিংলা রোববার (৪ নভেম্বর) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গাজিরহাটে প্রণব মঠের অতিথি ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে এক কোটি বাঙ্গালিকে ভারত যেমন আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছিল এবারও বাংলাদেশ ঠিক একইভাবে ১১ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গাকে তার দেশে আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে ভারতের যেমন সহযোগিতা থাকবে তেমনি অন্যান্য দেশেরও উচিত বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া। তিনি বলেন, আমরা সব সময় এ ধরনের নির্যাতিতদের গ্রহন করতে প্রস্তুত রয়েছি। কাজটি মোটেও ছোট নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। ভারত বাংলাদেশের সুসময় ও দুঃসময়ে পাশে আছে উল্লেখ করে শ্রিংলা বলেন এখন দুই দেশের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক বিরাজ করছে।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আরও বলেন, ভারত সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ‘দুই দেশ এখন সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় পার করছে’। এই সম্পর্কের আরও অনেক উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন আমরা এতে খুব খুশী। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমি নিজেও তা দেখেছি। কারণ এদেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় সেনারা মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিতে পেরে গর্বিত মনে করে। বন্ধু দেশ বাংলাদেশে ভারত সরকারের দেওয়া ৩৫০ কোটি টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মান সংস্কারের কাজ চলছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ডা. আফম রুহুল হক এমপি।
ভারতীয় হাইকমিশনার এর আগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুরে বংশীপুর মন্দির পরিদর্শন করেন। তিনি মন্দির সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ দেন। তিনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রণব মঠের অতিথি ভবন নির্মান কাজ উদ্বোধন করেন।
এমএ