খ্রিস্টানদের বাসে 'আইএস'এর হামলায় নিহত ৭

মিশরের মিনইয়ায় একটি মঠে যাওয়ার সময় কপটিক খ্রিস্টানদের বহনকারী বাসে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। খবর রাশিয়া টুডের।
এ খবরে বলা হয়েছে, সেন্ট স্যামুয়েল দ্য কনফেসারের মঠে যাবার পথে কপটিক খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের বাসে বন্দুক হামলা চালানো হয়। এ হামলারএকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৭ সালে এই একই মঠে যাবার পথে কপটিক খ্রিস্টানদের বহনকারী বাসের ওপর মুখোশধারীরা গুলি ছুঁড়লে ২৮ জন নিহত এবং ২২ জন আহত হয়েছিলেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রে জানা যায়, বাসটি আনবা স্যামুয়েল থেকে মিনায়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। সে সময় মিশরীয় এক গণমাধ্যম সুত্র জানিয়েছিল যে, দুইটি বাস ও একটি ট্রাকে করে কপটিক খ্রিস্টানরা মিনায়া প্রদেশের খ্রিস্টান অধ্যুষিত এক গ্রামে যাচ্ছিল। তাদেরকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে দশজন হামলাকারী প্রকাশ্যে গুলি ছুড়তে থাকে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসি খ্রিস্টানদের ওপর এই হামলার পর সিনাই উপদ্বীপে ইসলামিস্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। টুইটারে একটি পোস্টে তিনি লিখেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি এবং কালো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেট (আইএস) পরবর্তীতে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
মিশরে কপটিক খ্রিস্টানরা প্রায় সময়েই সন্ত্রাসীদের হামলার স্বীকার হন। গত আগস্টে কপটিক খ্রিস্টানদের চার্চে বোমার হামলা চালানো হয়। সম্ভাব্য আত্মঘাতী এ বোমা হামলা ব্যর্থ হয়। কারণ ওই হামলায় যে বোমা বিস্ফোরণ হয় তাতে শুধু হামলাকারী নিহত হয়।
এর আগে ২০১৬ সালে একটি খ্রিস্টান চার্চে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এ বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়। এরপর ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে পাম সানডেতে কায়রোর দুটি কপটিক চার্চে দুটি আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছিলেন।
এল,এস