জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশবলে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম বাতিলের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান।
দ্যা ওয়াশিংটন পোষ্ট।
গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউভিএলকে বেতার কেন্দ্রে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন কংগ্রেসের এ শীর্ষ রিপাবলিকান।
স্পিকার পল রায়ান বলেন, “আপনি স্পষ্টতই একাজ করতে পারেন না,”। তিনি বলেন,“নির্বাহী আদেশ দিয়ে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যাবে না। ওবামা (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট) যখন নির্বাহী আদেশ দিয়ে অভিবাসন আইন পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন তখন আমরা তা পছন্দ করিনি। আর কনজারভেটিভ দল হিসাবে আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী।”
তিনি আরো বলেন,যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা বেশির ভাগ মানুষই আইনগতভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এবং আদালতের সিদ্ধান্তেই এ অধিকার সংরক্ষিত আছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার এক্সিওস নিউজ ওয়েব সাইটে দেশে জন্মসূত্রে নাগিরকত্বের প্রচলিত নিয়ম বদলাতে কংগ্রেসের অনুমোদন না নিয়েই একতরফাভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণকারী যে কারো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার দিন শেষ হওয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন,“বিশ্বে আমরাই একমাত্র দেশ যেখানে একজন ব্যক্তি আসেন, একটি সন্তান নেন। আর এই সন্তান সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ৮৫ বছরের জন্য মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। এটি হাস্যকর ! এ নিয়ম শেষ করার সময় এসেছে।”
তাই এই বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কাজ করছেন বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন,“বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা হবে।”
কিন্তু সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীতে নিশ্চিত করা নাগরিকত্বের এ অধিকার রুখতে হলে পাল্টা সংশোধনীর প্রয়োজন হবে। তাছাড়া, নির্বাহী আদেশবলে ট্রাম্প একাজ করতে গেলে তা আদালতেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
এমএল