ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১


যে কোনো সময় হতে পারে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি


৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৮

ছবি: সংগৃহীত

যে কোনো সময় হতে পারে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি। আগের প্রস্তাবের বেশ কিছু দাবি থেকে সরে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এরপরই ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তির আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার (৫ জুলাই) এই আলোচনায় গতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

 

হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই টেলি আলাপে নেতানিয়াহু বাইডেনকে জানান তিনি যুদ্ধবিরতির আলোচনা পুনরায় শুরু করতে একটি প্রতিনিধি দলকে পাঠাবেন। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্নেয়া।

 

এর আগে যুদ্ধবিরতির যত আলোচনা হয়েছে, তার সবগুলোতেই ইসরাইল জানিয়েছে হামাস যেসব দাবি-দাওয়া পেশ করছে সেগুলো তাদের মানা সম্ভব নয়। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতি হতে পারে।

 

ফিলিস্তিনি একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাস নতুন যে প্রস্তাব দিয়েছে এটি যদি ইসরাইলি মানে তাহলে একটি কাঠামোগত চুক্তি হতে পারে।

 

সূত্রটি বলছে, হামাস এখন আর চুক্তির শুরুতেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছে না। এর বদলে যুদ্ধবিরতির প্রথম ছয় সপ্তাহে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে যে আলোচনার শর্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দিয়েছে সেটি তারা মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি যুদ্ধবিরতির প্রথম ছয় সপ্তাহের মধ্যে দুই পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে না পৌঁছাতে পারে তাহলে এজন্য আরও সময় নেওয়া হবে। আর এ বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হতে হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

 

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে খুব সম্ভবত চিন্তা-ভাবনা ও আলোচনা করা হচ্ছে। তবে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়টি তারা মেনে নেবে না। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, গাজার নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র গাজার বাসিন্দাদের কাছেই থাকবে।

 

হামাসের আরেক মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠী পপুলার রেজিসটেন্স কমিটি (পিআরসি) জানিয়েছে, গাজায় যদি কোনো শান্তিরক্ষী পাঠানো হয় তাহলে তারা তাদের দখলদার হিসেবে বিবেচনা করবে।