ইসরায়েলে হামলা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল : হামাস

ইসরায়েলে চালানো হামলাটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
হামাস বলেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে পরিচালিত হামলায় কিছু ‘ত্রুটি’ ছিল। তবে হামাস যোদ্ধারা কেবল ইসরায়েলি সৈন্য এবং অস্ত্র বহনকারী লোকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে বলেও দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামাসের এই হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ১২০০ ইসরায়েলি। নিহতদের প্রায় ৩০০ জন সেনাসদস্যও ছিলেন। এছাড়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ আরও দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মুক্তি দাবি করেছে ইসরায়েল। আর এ লক্ষ্যে গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
এরপর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাড়ে তিন মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এমন অবস্থায় গত অক্টোবরের সেই ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের অভিযানের পটভূমি ও নৈতিক ভিত্তি ‘স্পষ্ট করতে’ রোববার হামাস ‘আওয়ার ন্যারেটিভ’ শিরোনামে ১৬-পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিস্ময়কর সেই হামলার পর প্রকাশিত প্রথম এই পাবলিক রিপোর্টে হামাস বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সমস্ত ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করার জন্য সেই হামলা ছিল একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া’।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হামলার সময় হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, ধর্ষণ ও অঙ্গহানিসহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে। তবে হামাস দৃঢ়ভাবে যৌন সহিংসতা এবং অঙ্গচ্ছেদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।