ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


ডিএমপির সাইবার ইউনিট নিষিদ্ধ করলো ব্লু হোয়েল-মমো-গ্র্যানি গেম


৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৪২

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ইউনিট বাংলাদেশে প্রাণঘাতি ব্লু-হোয়েল, মোমো ও গ্র্যানি গেম খেলায় নিষিদ্ধ করেছে। 
 
পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম সাইবার ইউনিটের এই নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন এই তিনটির কোনো একটি গেম খেললে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জব্দ করা হবে তার মোবাইল ফোনসহ যাবতীয় জিনিসপত্র।
 
তিনি আরও বলেন, এই ৩টি গেমের কোনো একটি খেলছে, এমন কাউকে যদি শনাক্ত করা হয় তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করছি- যদি তাদের আশেপাশের কেউ এই গেমটি খেলে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তাদের বিষয়ে তথ্য দিন।
 
তবে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী এসব গেমের কোনো লিংক বা গেম খেলছে এমন কাউকে সনাক্ত করা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। 
 
ব্লেড দিয়ে হাত কেটে তিমি মাছ আঁকা আর আত্মহত্যার মতো পরিণতির গেম ব্লু হোয়েল ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ভারত-চীনসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
 
 
তিনি আরও বলেন, এই গেমগুলো গেইমার এবং তার পরিবারের জন্য প্রাণঘাতী। গেমগুলো তরুণ সমাজকে হতাশাগ্রস্ত ও মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। এই বিবেচনায় বাংলাদেশে গেমগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট। ভারত-পাকিস্তানেও এই ৩টি গেম নিষিদ্ধ রয়েছে।
 
ব্লু হোয়েল গেমে অনলাইনে একটি কমিউনিটি তৈরি করে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে মোট ৫০টি ধাপ থাকে। ধাপগুলো খেলার জন্য ওই কমিউনিটির অ্যাডমিন বা পরিচালক খেলতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দিয়ে থাকে। প্রতিযোগী সে চ্যালেঞ্জ পূরণ করে তার ছবি আপলোড করে। শুরুতে মোটামুটি সহজ এবং কিছুটা চ্যালেঞ্জিং কাজ দেয়া হয়। যেমন- মধ্যরাতে ভূতের সিনেমা দেখা, খুব সকালে ছাদের কিনারা দিয়ে হাঁটা, ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা ইত্যাদি। ধাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কঠিন ও মারাত্মক সব চ্যালেঞ্জ দেয় পরিচালক। যেগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ এবং সর্বশেষ ধাপ হলো আত্মহত্যা করা। অর্থাৎ গেম শেষ করতে হলে প্রতিযোগীকে অাত্মহত্যা করতে হবে।
 
ভারত পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা তদন্তের পর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, গ্র্যানি নামের এই গেমটি মোমো বা ব্লু হোয়েলের মতো লিংক নির্ভর নয়। গেমটি মূলত ভয়ের। এই গেমের বিভিন্ন ধাপে রক্ত, ভূত বিভিন্ন রকম হিংসার ঘটনা রয়েছে।
 
এছাড়াও যারা ব্লু-হোয়েল ও মোমো’র শেষ পর্যন্ত যেতো তারা আত্মহত্যা করতো কিংবা আত্মহত্যা চেষ্টা করতো। তবে গ্র্যানি গেমের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনকে মারধর হত্যার মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করছে ভারতীয় পুলিশ।
 
আরআইএস