ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


হামাস সদস্যদের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা নেতানিয়াহুর


১২ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩৬

ছবি সংগৃহীত

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও ১ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এমন অবস্থার মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গাজায় ভয়াবহ অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এমন অবস্থার মধ্যে অভিযানে প্রত্যেক হামাস সদস্যের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাদের সব সদস্যকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েল এরই মধ্যে জরুরি সরকার গঠন করেছে। সেই সরকারের প্রথম বৈঠকের পর নেতানিয়াহু এমন মন্তব্য করেন। এছাড়া ইসরায়েলের বিরোধী নেতা বেনি গ্যান্টজ বলেছিলেন যে এটি 'যুদ্ধের সময়'।

বুধবার হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মাঝে জাতীয় সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধীরা। কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তেজ জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হন।

পরে সন্ধ্যার দিকে দেওয়া এক ভাষণে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যেক হামাস সদস্যকে মৃত দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রত্যেক হামাস সদস্যই (আমার চোখে) মৃত ব্যক্তি বা ডেড ম্যান।’

সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বে প্রাচীন আমলে প্রতিপক্ষকে হত্যা করার হুমকি দিতে এই ডেড ম্যান শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হতো।

জরুরি সরকার গঠনের মানে হল, যুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এ ধরনের কোনো বিল বা সরকারি সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে পাস হবে না। পাশাপাশি যুদ্ধকালীন সময়ে সমস্ত সিনিয়র কর্তৃপক্ষ নিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো হবে।

গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে।