ঢাকা বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


সহপাঠীকে মেঝেতে ফেলে তিন ছাত্রীর শারীরিক নির্যাতন


২৩ জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:০৩

বেশ কিছু কারণেরই কিছু দিন পর পর আলোচনা-সমালোচনা চলে পাকিস্তান নিয়ে। এবারও তেমনই ঘটনা ঘটল পাকিস্তানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহপাঠীদের হাতে এক ছাত্রী নির্যাতিত হওয়ার একটি ভিডিও আলোচনা সৃষ্টি করেছে দেশটিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তানের লাহোরের একটি প্রাইভেট স্কুলের তিন ছাত্রী তাদের এক সহপাঠীকে শারীরিক নির্যাতন করছে। সেখানে স্কুলের তিন ছাত্রী তাদের সহপাঠীকে চুল ধরে মেঝেতে ফেলে চড়-থাপ্পড় মারতে দেখা যায়। শুধু চড়-থাপ্পড়ই নয় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায় নির্যাতিত অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মাফ চাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা।

ভিডিওতে দেখা যায়, একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর কপালে লাথি মারে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য এক ছাত্রী। আর এই দৃশ্য মোবাইলফোনে ধারণ করে তাদেরই আরেক সহপাঠী। তবে সহপাঠীকে মারধরের সময় তাদের সবাইকে বেশ হাসি-খুশি ও ঠাট্টা করতে দেখা যায়। এমনকি ওই ছাত্রীর বুকে চেপে বসা এক ছাত্রী নিজের মোবাইল বের করে ছবিও তোলেন।

দেশটির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্য মাহিন ফয়সাল টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।

ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, এটা দেখে একেবারেই বিরক্ত হয়েছি। লাহোরের স্কারসডেল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দৃশ্য এটি; যেখানে শিক্ষার্থীরা মদ্যপানে অস্বীকৃতি জানানোয় এক সহপাঠীকে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি অগ্রহণযোগ্য। আমি আশা করি, মেয়েদের বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা পুলিশ ওই স্কুলের চার ছাত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে বলে শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে।

এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর লাহোরের ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ বলেছে, ছাত্রীদের মারামারির এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এদিকে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর বাবা ইমরান ইউনুসের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। মেয়ে মাদক সেবনে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তার তিন সহপাঠী তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আইকে