ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত ৪


১০ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৩৪

পশ্বিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোচ বিহারে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

এর আগে শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ। রাজ্যের ৫ জেলার ৪৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় চলবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।

বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজ্যের কুচ বিহার জেলায় বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় চারজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার ৯ এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি বিধানসভা আসনের সব কয়টিতেই ভোটগ্রহণ চলছে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, হাওড়া জেলার ১৬টির মধ্যে ৯টি এবং হুগলির ১৮টির মধ্যে ১০টি আসনেও ভোট হচ্ছে।

চতুর্থ দফার ভোটে রয়েছেন সবচেয়ে বেশি তারকা প্রার্থীও। এছাড়া তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া প্রভাবশালী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন চক্রবর্তী এবং বৈশালী ডালমিয়ারা আজকে প্রার্থী। তারকাদের মধ্যে সিঙ্গুরে বিজেপি-র প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, চুঁচুড়ায় বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, চন্দননগরে তৃণমূলের প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন, উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক এবং বিজেপির প্রবীর ঘোষাল। বেহালা পূর্বে তৃণমূলের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রার্থী পায়েল সরকার। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভোট। ওই দুই জেলাতে রয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী। কোচবিহারের নাটাবাড়ি থেকে লড়ছেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দিনহাটার বিজেপির প্রার্থী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং কুমারগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী লিওস কুজুর।

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ৩৯টি। বিজেপির হাতে মাত্র একটি এবং বামেদের দখলে তিনটি আসন। আর তাদের জোট শরিক কংগ্রেসের ঝুঁলিতে ছিল একটি আসন। অবশ্য ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলের হিসাব অনেক বদলে গিয়েছে। এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৫টি এবং বিজেপি ১৯টি কেন্দ্রে এগিয়ে। তবে সে সময় পৃথক ভাবে লড়াই করা বাম-কংগ্রেসের হাতে কোনও আসনই নেই।