ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১


আর্কটিক অঞ্চলে এক লাখ বছরের পুরনো ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে, বিপর্যয়ের শঙ্কা বিজ্ঞানীদের


৭ জুলাই ২০২০ ০১:৩৪

ছবি অনলাইন

অনেক ভাইরাস করোনার চেয়েও শক্তিশালী। এসব ভাইরাস হিমায়িত অবস্থায় থাকলেও বরফ গলে যাওয়ায় সেগুলো সক্রিয় হচ্ছে। ফলে বিশ্বজুড়ে বড় বিপর্যয় নেমে আশার শঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট রবিবার (৫ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, আর্কটিক অঞ্চলে এখন যা হচ্ছে তা খুবই হতাশাজনক। সর্বশেষ ১৫ দিনে সাইবেরিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেক স্থান দাবদাহ চলছে। তাপমাত্রার কারণে আবহাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড। এতে জলবায়ু পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে। থিবী অতিমাত্রায় গরম হয়ে উঠছে। এতে আর্কটিক অঞ্চলে হিমায়িত অবস্থায় থাকা ভাইরাসগুলো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। অনেক ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, এসব ভাইরাস আর্কটিক অঞ্চলের বরফের নিচে হিমায়িত হয়ে সুপ্ত অবস্থায় ছিল। ভাইরাসগুলি হাজার হাজার এমনকি লাখো বছরের পুরনো। দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রথমবারের মতো এসব ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যখন হিমায়িত অবস্থা থেকে প্রকৃতিতে ভাইরাস অবমুক্ত হয়, তখন তা নদীতে গিয়ে পড়ে। অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে যায়। পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম আনআর্থডকে এইক্স মার্সেইলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জ্যাঁ মিশেল ক্লাভেরি বলেছেন, একেবারে চিরহিমায়িত অঞ্চলের গভীরে বেঁচে থাকতে পারে ব্যাকটেরিয়া এবং তারা পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। একই প্রতিষ্ঠানের ড. চ্যান্টাল অ্যাবারজেল বলেন, প্রাচীনকালের হিমায়িত নমুনা থেকে আমরা ৩০ হাজার বছরের পুরানো ভাইরাসকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এর আগের ভাইরাসকে আমরা পুনরুজ্জীবিত করতে পারিনি।