মৃত্যুকূপ ইন্দোনেশিয়া

এক ঘন্টার সুনামিতেই গেল হাজারও প্রাণ। ভুমিকম্প, সুনামি ও ধ্বংসস্তূপ। লাশ ভাসছে সমুদ্রের পানিতে। ইন্দোনেশিয়া যেন এক মৃত্যুকূপ। ধ্বংসস্তূপ থেকে ভেসে আসছে মানুষের কান্না। জীবনের এ আর্তনাদে সাড়া দিতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।
গত শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির সুলাবেসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেখানে কম্পনের পর আছড়ে পড়ে প্রলয়ঙ্করী সুনামির ঢেউ। সুউচ্চ ঢেউ লণ্ডভণ্ড করে দেয় উপকূলীয় এলাকা। ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ৮৩২ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংগঠন রেডক্রস বলছে, ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত খুব সামান্যই জানা গেছে। এমনও দুর্গত অঞ্চল রয়েছে, যেখানে এখনও পৌঁছানোই যায়নি।
সুলাবেসি দ্বীপের প্রাদেশিক রাজধানী পালু শহরে ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পের পর সেখানকার চিত্র এখন ভয়াবহ। উপকূলীয় এলাকায় আংশিকভাবে ঢাকা পড়া মৃতদেহ পড়ে আছে। ছাদ, কাঠসহ বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে, এক ছোট শিশুর মাটিমাখা মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছেন। নাইনিং নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা কম্পাস.কম-কে বলেন, ‘সাগরতীরে অনেক মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং সাগরপৃষ্ঠেও মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে।’
এদিকে জাতিসংঘ, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সহায়তা পাঠাতে চেয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতায় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তার সংস্থা। পালু ও ডংগালা শহর এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন, জ্বালানি সরবরাহ সেখানে কমে আসছে। কয়েকটি ত্রাণবাহী বিমান পালুর প্রধান বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এসএ