ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ভারতে বিক্ষোভকারীদের দমাতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করছে মোদি সরকার


২২ জানুয়ারী ২০২০ ০৬:২৯

নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডের পুলিশ ৩ হাজারেরও বেশি আন্দোলকারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। আন্দোলনকারীরা ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন এবং তাদের ভারতীয় পুলিশ অন্যান্য অভিযোগের সাথে ‘দেশদ্রোহ’-এর মত অভিযোগে অভিযুক্ত করে।

নরেন্দ্র মোদির সরকার ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন’ (সিএএ) পাস করার পর গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে তীব্র আন্দোল করছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির বিরোধী রাজনীতিকরা এই আইনকে বিভাজক, বৈষম্যমূলক ও দেশের অসাম্প্রদায়িক সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলে আইনটির বিরোধীতা করে আসেছেন। রাস্তার আন্দোলনের পাশাপাশি এই আইনটি বাতিলে দেশটির সুপ্রিমকোর্টেও আবেদন করা হয়েছে।

তবে মজার ব্যাপার হলো, যে আইনে নরেন্দ্র মোদির সরকার সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদেরকে বিদ্রোহী আখ্যায়িত করে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেই আইনটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের হাতে তৈরি হয়েছিল ১৮৭০ সালে। পরে স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারায় এই আইনটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, দেশের ভিতরে ভিন্নমত দমন করতেই ভারত সরকার এই আইনটি ব্যবহার করছে। বিশেষ করে এই আইনটি ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।

যেমন, গত দেড় বছরে ভারতের খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ ঝাড়খন্ড রাজ্যে ১৯টি মামলায় পুলিশ ১০ হাজারেরও বেশি কৃষককে অভিযুক্ত করেছে। এসব কৃষক সেখানকার তথাকথিত উন্নয়ন কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করেছিলেন।

এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার পর ঝাড়খন্ডের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন কৃষকদের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদোহের মামলা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব মামলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সাবেক রাজ্য সরকার দায়ের করেছিল।

নতুনসময়/আইকে