ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


জীবন্ত মাটি চাপা দেয়া শিশুটি এখন সুস্থ


৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:২০

ছবি সংগৃহীত

ভারতে জীবন্ত মাটি চাপা দেয়া মেয়ে শিশুটি এখন পুরোপুরি সুস্থ। গত অক্টোবরে গুরুতর অবস্থায় তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তার রক্তে দূষণ এবং বিপদজনক মাত্রার প্লাটিলেট কাউন্ট ছিল। তবে এখন তার ওজন বেড়েছে, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং প্লাটিলেট কাউন্ট স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক রাভি খান্না। এখনো তার বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাধ্যতামূলক একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তাকে দত্তক দেয়া হবে। এখন সে উত্তর প্রদেশের বারেইলি জেলার শিশু কল্যাণ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। অনেকটা আকস্মিকভাবে ওই শিশুটিকে একজন গ্রামবাসী খুঁজে পান, যিনি তার সদ্য মারা যাওয়া নবজাতক শিশুকে দাফন করতে কবর খুঁড়ছিলেন। ওই গ্রামবাসী জানিয়েছিলেন, তিনি যখন প্রায় তিন ফুট গর্ত খুঁড়েছিলেন, তখন তার শাবলটি একটি মাটির পাত্রে আঘাত করে এবং সেটি ভেঙে যায়। তখন তিনি একটি শিশুর কান্না শুনতে পান। যখন তিনি পাত্রটি বাইরে বের করে আনেন, তিনি দেখতে পান ভেতরে একটি শিশু রয়েছে।

প্রথমে ওই শিশুটিকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুইদিন পরে তাকে ড. খান্নার শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ভালো চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির অপরিণত অবস্থায় জন্ম হয়েছে, সম্ভবত তার বয়স ছিল ৩০ সপ্তাহ। যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তার ওজন ছিল মাত্র ১১০০গ্রাম। তখন তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, তার রক্তশূন্যতা রয়েছে। এছাড়া তার ঠাণ্ডা এবং হাইপোর (রক্তে চিনি শূন্যতা) সমস্যা রয়েছে। ড. রাভি খান্না জানান, গত মঙ্গলবার যখন তাকে আমরা জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি, তার ওজন বেড়েছে ২.৫৭ কেজি। সে এখন বোতল থেকে দুধ খেতে পারছে এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে। শিশুটি কতক্ষণ ধরে কবর দেয়া অবস্থায় ছিল, সেটি জানা যায়নি। ড. খান্না বলেছেন, তাকে হয়তো তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে কবর দেয়া হয়েছিল এবং সে নিজের শরীরের বাদামী চর্বির ওপরেই নির্ভর করে টিকে ছিল। তলপেটে, উরু এবং গালে এ ধরণের চর্বি নিয়ে শিশুদের জন্ম হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে এর ওপর নির্ভর করে শিশুরা কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাকে হয়তো দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে কবর দেয়া হয়েছিল এবং উদ্ধার করা না হলে সে হয়তো আর এক বা দুই ঘণ্টা টিকে থাকতে পারতো। মাটির পাত্রে থাকা ফুটোর কারণে হয়তো সেখানে বাতাস চলাচল করেছে, ফলে সে অক্সিজেন পেয়েছে। অথবা নরম মাটির ভেতর থেকেও সে অক্সিজেন পেয়ে থাকতে পারে।