কাশ্মীরে ২ দিনে ৬ হত্যা:ভয়ে পালাচ্ছে আপেল ব্যবসায়ীরা

জম্মু-কাশ্মীর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হঠাৎই তৎপর হয়ে উঠেছে।গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে ছয়জনের প্রাণ ঝরে গেছে। বুধবার তিন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার কথা জানিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
একইদিনে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে একজন আপেল ব্যবসায়ীসহ নিহত হয়েছে তিন বেসামরিক নাগরিক।
সম্প্রতি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বিচ্ছিন্নতাবাদী আর নিরাপত্তা বাহিনীর এই গোলাগুলির মধ্যে ফের থমকে গেছে জনজীবন। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
আড়াই মাস ধরে কাশ্মীর কার্যত অবরুদ্ধ। আগস্টে এর বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই অস্থিতিশীলতার আশঙ্কায় সেখানে সেনা প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অবরুদ্ধ করে দেয়ায় কাশ্মীর কার্যত এখন ভারতের অন্য শহর ও বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন।
এমন পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে আপেল শিল্প। কাশ্মীরে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কিছু তুলে নেয়া হয়েছে ধীরে ধীরে। এরই অংশ হিসেবে ৭২ দিন পর গত সোমবার প্রিপেইড মুঠোফোনের সংযোগ চালু করা হয়। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে পর্যটকদের ওপর থেকে।
ওইদিন সন্ধ্যাতেই সোপিয়ান-শ্রীনগর মহাসড়কে রাজস্থানের এক ট্রাকচালককে গুলি করে হত্যা করে সন্দেহভাজন দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আরও দু’জনকে হত্যা করা হয়। একজন ছত্তিশগড়ের শ্রমিক। আরেকজন পাঞ্জাবের আপেল ব্যবসায়ী।
একের পর এক হত্যাকাণ্ডে উপত্যকার আপেলের বাজারগুলোতে ভীতি ও শঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। সোপিয়ানের ফল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘ফ্রুট মান্দি’র সভাপতি মোহাম্মদ আশরাফ ওয়ানির গলায় সেই শঙ্কাই ফুটে উঠল।
তিনি বলেন, ‘আপেল বেচা-কেনা ও বহনের জন্য অন্য রাজ্যের পরিবহনের ওপরেই আমরা নির্ভরশীল। কিন্তু এখন প্রত্যেকে খুবই ভয়ের মধ্যে আছি। কেউই আপেল কিনতে আসছেন না। সব পচে যাচ্ছে।
নতুনসময়/এসএম