ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


কাশ্মীরে সরকারি দপ্তরে গ্রেনেড হামলা


১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৭

ফাইল ফটো

কাশ্মীর নিষেধাজ্ঞার ৩ দিনের মাথায় আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) এক সরকারি কার্যালয়ের সদর দপ্তরের সামনে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আশপাশে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণে সকল নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়া হয় গত বৃহস্পতিবার।

এ খবর প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা টাইমস। খবরে আরও বলা হয়, শনিবার সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায়। ওই জেলার ডেপুটি কমিশনারের সদর দপ্তরে এ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে সেখানে।

এদিকে, ঘটনার পরই সমগ্র এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় জড়িত কোনও ব্যক্তি বা জঙ্গিকে আটক করতে পারেনি সেনাবাহিনী বা পুলিশের কেউই। স্থানীয়দের সাহায্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এখনো কেউই এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

জেলা স্তরের প্রশাসনিক ভবনের বাইরে সাধারণত বেশ জনসমাগম হয়ে থাকে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জনবহুল জেলার ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়কেই সেই কারণে বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। এদিন সকালের দিকে ভিড়পূর্ণ সেই প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনেই গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। ওই কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত বহু মানুষ সেই ঘটনায় আহত হয়েছে। অনন্তনাগ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রেনেড হামলায় অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। যাদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গত আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নিয়েছে ভারত সরকার। তারপর ওই রাজ্যে নানা ধরণের বিধিনিষেধ জারি ছিল। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনেক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের জন্যও খুলে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরকে। আর সেই ঘটনার তিনদিনের মাথায় ঘটল বিস্ফোরণ। খুব স্বাভাবিকভাবেই যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত।

পাহাড় এবং জঙ্গল ঘেরা অনন্তনাগ জেলা বরাবরই জঙ্গিদের আনাগোনার জন্য বিশেষ জায়গা। নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া এই জেলায় বিভিন্ন সময়েই জঙ্গিদের সঙ্গে বিএসএফ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারের খবর শোনা যেতো। গত দুই মাস ধরে তা দেখা যায়নি। দিল্লির কড়া সিদ্ধান্তের ফলে কিছুটা হলেও চাপে ছিল জঙ্গিবাহিনী। তবে শনিবারের ঘটনা ফের বুঝিয়ে দিল যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে জঙ্গিরা।

নতুনসময়/এসএম