বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে শ্রীঘরে তরুণী

ধর্ষণের মামলা করে নিজেই ফেঁসে গেলেন অভিযোগকারী। ।বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের আইন কলেজের এক ছাত্রী চিন্ময়ান্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, তাকে এক বছর ধরে নিজের যৌন লালসার শিকার বানিয়েছেন বিজেপির ঐ প্রবীণ নেতা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগও আনেন ঐ ছাত্রী। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এ ঘটনায় শুক্রবার গ্রেফতারও হতে হয় চিন্ময়ানন্দকে। কিন্তু পাল্টা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগে এবার সেই ছাত্রীকেই গ্রেফতার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের নারী নির্যাতনের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন বিজেপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ। ছাত্রীর অভিযোগের চাপে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় তাকে। ঘটনার শুরু থেকেই অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ করে আসছিলেন চিন্ময়ানন্দ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন আইনের সেই ছাত্রী। কিন্তু আদালত জামিন খারিজ করে দেয়। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এদিকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগকে লঘু করতেই এই সব নাটক করা হচ্ছে।’
ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগে শচিন এবং বিক্রম নামে আরও দুজনকে রিমান্ডে নিয়েছে তদন্তকারী দল। এর আগে একই অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারী বেঞ্চের প্রধান নবীন অরোরা দাবি করেন, আইনের ছাত্রী অস্বীকার করলেও, গ্রেফতারকৃতরা সকলেই ব্ল্যাকমেইলিং-এর কথা স্বীকার করেছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিং ছাড়াও, হুমকি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ভাঙা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’
এছাড়া বিজেপি নেতার দায় উল্লেখ করে বেঞ্চ জানায়, গত শুক্রবার জেরা চলাকালীন চিন্ময়ানন্দও স্বীকার করেন, তিনি ঐ ছাত্রীকে ‘ম্যাসাজ’ করতে বলেছিলেন।
নতুনসময়/এসএম