ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২


ভারতে’ আবারও হামলা হতে পারে পুলওয়ামার মতো


২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৫১

নতুন সময়

পুলওয়ামায় হামলার মতো আবারও হামলা হতে পারে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে। পাকিস্তানের আশ্রয়ে থেকেই ভারতে নাশকতামূলক কাজ-কর্ম চালায় জইশ-ই-মোহাম্মদ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলার পেছনে তাদের হাত রয়েছে। হামলার পর সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এতকিছুর পরও পাকিস্তানেই রয়েছে মাসুদ।

মঙ্গলবার কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে দেশটির গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে হামলা চালাতে ইতিমধ্যেই ৩০ জন জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ‘মজলিস উরাসা-ই-শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’। জম্মু-কাশ্মীরে সেনা ক্যান্টনমেন্ট এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে হামলা চালানোই মূল লক্ষ্য তাদের। এ জন্য চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই বালাকোটের ‘মারকাজ সৈয়দ আহমেদ শহিদ’ প্রশিক্ষণ শিবিরটি ফের চালু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ভাওয়ালপুর এবং সিয়ালকোট থেকেও প্রচুর নব্য জঙ্গি নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলা চালানো যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অক্টোবরের মধ্যে সন্ত্রাস দমনের সব শর্ত পূরণ করতে না পারলে পাকাপাকিভাবে কারও তালিকাভুক্ত হতে পারে পাকিস্তান। এর ফলে নেমে আসতে পারে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও।

নতুন নামকরণ হলেও জম্মু-কাশ্মীরকে অশান্ত করে তোলাই লক্ষ্য এ সংগঠনের। তাই নাম রাখা হয়েছে ‘মজলিস উরাসা-ই-শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’, যার অর্থ ‘কাশ্মীরি শহিদদের উত্তরসূরিদের জোট।’ তবে সংগঠনের কমান্ডার এবং সদস্যরা একই রয়েছে। তাদের নেতা মাওলানা আবিদ মুখতার ইতিমধ্যেই ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিয়েছে।

পকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ নাম পরিবর্তন করে ‘মজলিস উরাসা-ই-শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’ রেখেছে। মাওলানা মাসুদ আজাহার অসুস্থ হওয়ায় সংগঠনটির দায়িত্ব নিয়েছেন তার ভাই মুফতি আবদুল রউফ আসগার। ইতিমধ্যেই একদল জিহাদিকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন মুফতি আবদুল। ভারতে নাশকতামূলক হামলা চালানোই তাদের লক্ষ্য।

এতে বলা হয়েছে, জইশ-ই-মোহাম্মদ এর আগেও কয়েকবার সংগঠনটির নাম বদলেছে। ২০০১ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘ এবং ডিসেম্বরে মার্কিন সরকার জইশকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। সে সময় সংগঠনের নাম বদলে তেহরিক-উল-ফুরকান রাখা হয়। সাময়িকভাবে সংগঠনের যাবতীয় সম্পত্তি হস্তান্তরিত করা হয় নিচু স্তরের সদস্যদের। ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান সরকার তাদের নিষিদ্ধ করলে সংগঠনের নাম পাল্টে খুদ্দাম-উল-ইসলাম রাখে তারা।

২০০৩ সালে খুদ্দাম নিষিদ্ধ হলে আল-রহমত নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জইশ। তবে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে পরবর্তীকালে দু’টুকরো হয়ে যায় সংগঠন। আবদুল জব্বার, মাওলানা উমর ফারুখ এবং আবদুল্লা শাহ মাজহার সংগঠন ছেড়ে বেরিয়ে জামাত-উল-ফুরকান গঠন করে। বাকিদের নিয়ে খুদ্দাম-উল-ইসলাম গঠন করে মাসুদ আজহার। সেই রীতি মেনেই ফের নাম বদল করে জইশ।

নতুনসময়/এসএম