যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দুই নারীর পুলিশকে প্রহার

ভুপালের মহেশ্বরে একটি বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশিকালে এক বালিকাকে যৌন নির্যাতন করেছেন বলে শুক্রবার অভিযোগ আনা হয় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এরপরই তার ওপর হামলে পড়েন স্থানীয়রা ও ওই দুই নারী। অভিযোগ ছিল, ওই বাড়িতে অবৈধভাবে মদ তৈরি করে তা বিক্রি করা হয়। এ অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালায়।
এ সময় বাড়ির অধিবাসীদের তর্কযুদ্ধে লিপ্ত দেখা যায় পুলিশের সঙ্গে। আকস্মিকভাবে একজন নারী অভিযোগ করেন সাব ইন্সপেক্টর মোহনলাল ভায়াল তার মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছেন। এ অভিযোগ করেই তিনি ওই সাব ইন্সপেক্টরকে প্রহার করা শুরু করেন। তার সঙ্গে যোগ দেয় অন্যরাও। পুলিশ কর্মকর্তাকে চড়থাপ্পর মারতে মারতে তারা বাড়ির প্রধান দরজা বন্ধ করে দেয়, যাতে তিনি পালাতে না পারেন।
ওই নারী এ অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তার কলার ধরে ফেলেন এবং তাকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার ওপর নিয়ে যান। এ সময় ওই নারীকে শান্ত করার চেষ্টা করতে দেখা যায় পুলিশ কর্মকর্তাকে।
এক বালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দুই নারীর হাতে প্রহৃত হয়েছেন মধ্যপ্রদেশে পুলিশের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা। এ সময় ওই দুই নারীর প্রহারের দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেন স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। পরে তারা তা ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে এখন সবার হাতে হাতে। অনলাইন এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে।
সহসাই তার সঙ্গে অন্যরা যোগ দিয়ে অপমান করতে থাকে তাকে। ঘটনা যখন এ পর্যায়ে তখন অন্য এক নারী একটি লাঠি দিয়ে নির্দয়ভাবে আঘাত করতে থাকেন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে। এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অশ্লীল বাক্য বর্ষণ করতে থাকে। ভিডিওতে অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখা যায়। কিন্তু তারা পরিস্থিতিতে কোনো হস্তক্ষেপ করেন নি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।