ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দিরই হোক, চাইছেন বাবরের বংশধর


১৯ আগস্ট ২০১৯ ২১:৫৮

প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি। ছবি: ইন্টারনেট

বাবরি মসজিদের জায়গায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরই দেখতে চান খোদ বাবরের বংশধর। সুপ্রিম কোর্ট যদি বাবরের বংশধর হিসেবে তাকে মান্যতা দেয়, যদি ওই বিতর্কিত জমির মালিক হিসেবে স্বীকার করে, তাহলে তিনি তা রাম মন্দিরের জন্যই দান করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আর ওই মন্দির তৈরির সময়ে তিনি দিতে চান একটি সোনার ইট। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই কথাই জানালেন শেষ মুঘল সম্রাট হিসেবে পরিচিত বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি।

কয়েকমাস আগে রাম মন্দির মামলায় তৈরি হওয়া মধ্যস্থতাকারী কমিটিতে থাকার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। বাবরের বংশধর হিসেবে ওই জমিতে তাঁর অধিকার আছে বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু, ওই জমির মালিক বলে নিজেকে দাবি করলেও তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ জমা দিতে পারেননি। তাই তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তবে এই মামলায় তাঁকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য যে আবেদন করেছিলেন, তার শুনানি এখনও বাকি।


এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাম জন্মভূমি নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিবাদ চলছে। কিন্তু, ওই জমির মালিকানার কাগজপত্র কোনও পক্ষের কাছেই নেই। তাই বাবরের বংশধর হওয়ার সুবাদে আদালতে একবার নিজের কথা জানাতে চাই। ১৫২৯ সালে প্রথম মোঘল সম্রাট বাবর শুধুমাত্র সেনাদের নামাজ পড়ার জন্য বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। অন্য কাউকে নমাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হত না। এখন আদালত যদি আমাকে জমিটা দিয়ে দেয় তাহলে ওটা আমি রাম মন্দির তৈরির জন্য দান করব। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ওই জায়গাটিকে ভগবান রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করেন। মনে করেন যে বাবরি মসজিদ তৈরির আগে ওখানে রাম মন্দির ছিল। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমি হিন্দুদের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করি। তাই তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব। এর জন্য প্রতিদিন রামলালার অস্থায়ী মন্দিরে গিয়ে দুবার করে প্রার্থনাও করি।’

রাম মন্দির ধ্বংস করে অযোধ্যার ওই জমিতে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করেন রামভক্তরা। তাঁদের এই বিশ্বাসকে মান্যতা দিয়ে ওই ঘটনার জন্য পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন হাবিবুদ্দিন তুসি। এর জন্য প্রতীক হিসেবে নিজের মাথায় রামলালার ‘চরণ-পাদুকা’ও ধারণ করেন। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।