দিল্লিকে জবাব দিতে পাকিস্তানের কমিটি গঠন

কাশ্মীরের 'বিশেষ মর্যাদা' বাতিলে নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের জবাব দিতে আইনি, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসলামাবাদ। এরই অংশ হিসেবে সাত সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার রাতে এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে রয়েছেন-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি, অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার মনসুর খান, পররাষ্ট্র সচিব সোহেইল মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত আহমেদ বিলাল সুফি এবং দুই গোয়েন্দা বিভাগ আইএসএস ও আইএসপিআরের দুই মহাপরিচালক। খবর ডনের।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পরই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বুধবার শীর্ষ নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইমরান খান। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এনএসসির সঙ্গে এটা তার দ্বিতীয় বৈঠক।
এতে উপস্থিত ছিলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে কাশ্মীর বিষয়ে ভারত সরকারের ‘একপাক্ষিক ও অবৈধ’ পদক্ষেপের বিভিন্ন দিক ও লাইন অব কন্ট্রোল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া বৈঠকে পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়।
৩৭০ ধারার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বায়ত্তশাসিত ছিল জম্মু-কাশ্মীর। নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা ও স্বতন্ত্র আইন বানানোর অধিকার ছিল ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।