গণঅনশনে কারাবন্দীরা

বন্দীদের অমানবিক পরিবেশে রাখা এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে ছয় সপ্তাহ ধরে কারাগারে বিক্ষোভ করছে ১৩০ বন্দী। তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণঅনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
মানবাধিকার এ গ্রুপ জানায়, কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত মিশরের কায়রোর আল-আকরাব কারাগারে অনশন পালনরত বন্দীদের বেশীরভাগ দু’বছরের বেশি সময় আগে গ্রেফতার করা হয়। এসব বন্দীদের সাথে তাদের পরিবারের কোন সদস্যকে বা আইনজীবীদের দেখা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বন্দীদের দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি জানায়, গত ১৭ জুন অনশন ধর্মঘট শুরু করার পর থেকে কর্তৃপক্ষ পাল্টা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বন্দীদের প্রহার ও বৈদ্যুতিক শক দেয়াসহ নানাভাবে নির্যাতন করে।
অ্যামেনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক সহকারি প্রধান মগদালানা মুঘরাবি বলেন, নোংরা ও অমানবিক পরিবেশে বন্দীদের রাখায় এবং পরিবারের সদস্যদের দেখা করার ও তাদের আইনজীবীদের কারাগারে প্রবেশের সুযোগ না দেয়ায় বন্দীদের জন্য একটি অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দুই পরিবারের সদস্যরা অ্যামনেস্টিকে জানায়, বন্দী আত্মীয়ের সাথে দেখা করার জন্য এমন কি তারা সুপ্রিম স্টেট সিকিউরিটি প্রসিকিউশন থেকে অনুমতি আনা সত্ত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ দেখা করার সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ মিশরের এমন মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্ষেত্রে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি’র স্বৈরাচারী সরকারকে দায়ী করে। ২০১৩ সালে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিসি ক্ষমতায় আসেন।