ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


মহাকাশের পথে ভারতীয় ‘চন্দ্রযান-২’


২৩ জুলাই ২০১৯ ১৯:১৫

ছবি সংগৃহিত

প্রযুক্তিগত ত্রুটি কাটিয়ে ভারতীয় ‘চন্দ্রযান-২’ এখন মহাকাশে। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে এটি সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়। এক সপ্তাহ আগেই ছাড়ার কথা ছিল এই যানটির। তবে সেসময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে স্থগিত হয়ে যায় তার উড্ডয়ন। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণার জন্য সোমবার পুনরায় উৎক্ষেপণ করা হয় যানটি।

গত ৭ জুলাই রাত ২টা ৫১ মিনিটের দিকে উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও রকেট সিস্টেমে ত্রুটি থাকার কারণে ৫৬ মিনিট আগে অভিযানটি স্থগিত করা হয়। গত ১৫ জুলাই ভারতে চন্দ্রযান ২-এর অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই সাজ সাজ রব ছিল শ্রীহরিকোটায়। সন্ধ্যার পর থেকে রীতিমতো কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল। তবে উৎক্ষেপণের নির্ধারিত সময়ের ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে ত্রুটি ধরা পড়ে রকেট সিস্টেমে। ইসরো-র বিজ্ঞানীরা জানান, রকেট থেকে জ্বালানি চুইয়ে পড়ছে।

ইন্টারনেটে এই উৎক্ষেপণ সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। সোমবার ভারতীয় সময় দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে জিএসএলভি-এমএক থ্রি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা এই চন্দ্রযানের। ছয় চাকার এইরোভারের নাম রাখা হয়েছে ‘প্রজ্ঞান রোভার'। এটি সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে দিনে ৫০০ মিটার পর্যন্ত চলবে এই রোভার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে কাজ করতে পারবে।

চন্দ্রযান-২ মহাকাশ যান চাঁদে পাঠাতে নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (জিএসএলভি এমকে-৩) ব্যবহার করছে ভারত। চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানটির ওজন দুই হাজার ৩৭৯ কেজি। এর মূল অংশ তিনটি- অরবিটার,বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান। উৎক্ষেপণ সফল হলে ৩ লাখ ৪৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করবে চন্দ্রযান-২। ৫৪ দিন পর এটি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানায়, টুইটার ও ফেসবুক থেবে উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখানো হবে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম দূরদর্শন এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখা যাবে। সোমবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এই সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে টিভিতে দুরদর্শন চ্যানেলে দেখা যাবে উৎক্ষেপণ।

চন্দ্রযান-২ মহাকাশ যান চাঁদে পাঠাতে নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (জিএসএলভি এমকে-৩) ব্যবহার করছে ভারত। চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানটির ওজন দুই হাজার ৩৭৯ কেজি। এর মূল অংশ তিনটি- অরবিটার,বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান। উৎক্ষেপণ সফল হলে ৩ লাখ ৪৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করবে চন্দ্রযান-২। ৫৪ দিন পর এটি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চন্দ্রযান-১ নামের মহাকাশ যান ব্যবহার করে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদে অভিযানের প্রচেষ্টা চালায় ভারত। ওই মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করলেও চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেনি। তবে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে চন্দ্রযান-২ এর নতুন অভিযানে চাঁদের পৃষ্ঠদেশেই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে ভারত। এর মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের পানি, খনিজ ও পাথরের গঠন বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করবে দেশটি। এই প্রচেষ্টা সফল হলে চাঁদের পৃষ্ঠদেশে মহাকাশযান পাঠানো চতুর্থ দেশ হবে ভারত।