মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারে পূর্ব-পরিকল্পিত রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর বর্মি সেনাবহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল রাখাইনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে তার দেশের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মাইক পম্পেও বলেন, বার্মার যেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞ চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকা ছিল। এমন ভূমিকার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হচ্ছেন মিয়ানমারের কমান্ডার ইন চিফ বা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং, ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং আং এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। এর মধ্য দিয়ে বর্মী সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ব্যবস্থা নিলো যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখে।