ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের না খাইয়ে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী


২ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২৬

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সংলাপের মাঝে আপ্যায়ন বিরতি হয়েছে গণভবনে। আপ্যায়নে অংশ নেবেন না বলে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা আগে জানালেও শেষ পর্যন্ত ভোজে অংশ নেন তারা। সব মিলিয়ে ১৮ ধরনের খাবারের ব্যবস্থা ছিল সেখানে।

আলোচনার মাঝপথে রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রধানমন্ত্রী খাওয়াদাওয়া শেষে আবার কথা শুরুর প্রস্তাব রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বান ফেলতে পারেননিন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

দেশের নামকরা হোটেল থেকে আনা ২০ বা ২১ পদের খাবারের তথ্য দুই দিন ধরেই গণমাধ্যমে আসছে। আর সংলাপের আলোচ্যসূচির চেয়ে খাবারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরুর পর বুধবার ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জানান তারা খাবেন না।

তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংলাপের শুরুতেই অতিথিদের সামনে দেওয়া হয় কমলা লেবু, আপেল ও তরমুজের শরবত এবং চিপস। এরপর আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে খাবার সরবরাহ চলতে থাকে।

সংলাপে আওয়ামী লীগ এবং তার শরিক ১৪ দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন কামাল হোসেন।

গণভবনের কর্মীদের তথ্য এবং খাবারের একটি তালিকা থেকে দেখা যায়, খাবার তালিকায় ছিল মোরগ পোলাও, সাদা ভাত, বাটার নান, মাটন রেজালা, রুই মাছের দো পেঁয়াজা, চিতল মাছের কোপতা, রান্না করা মুরগির মাংস, গরুর মাংসের কাবাব, সুপ, নুডলস, মিক্সড ভেজিটেবল। ছিল কয়েক ধরনের সালাদ।

এ ছাড়া টক দই, মিষ্টি দই ও চিজ কেক ছিল ডেজার্ট হিসাবে। ছিল কোমল পানীয়, চা ও কফি।


এই খাবারের বেশির ভাগ খাবার আনা হয়েছে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল থেকে। চিজ কেক আনা হয়েছে হোটেল র্যা ডিসন থেকে। এটি ড. কামাল হোসেনের বেশ প্রিয় খাবার।

খাসির রেজালা আনা হয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন থেকে। মোরগ পোলাও রান্না করেন পিয়ারু বাবুর্চি।

গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ড. কামালকে সংলাপের সময় জানিয়ে চিঠি দেয়ার সময়ই তার পছন্দের খাবারের কথা জেনে আসতে বলেছিলেন। আর ড. কামাল সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেন রবিবার। গণভবনে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের না খাইয়ে ছাড়লেন না।

বৃহস্পতিবার ২১ ঐক্যফ্রন্টের নেতাকে নিয়ে গণভবনে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কামাল হোসেন। তবে শেষ অবধি যাননি বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এই প্রতিনিধি দলে কামাল হোসেনসহ গণফোরাম এবং বিএনপির ছয় জন করে নেতা, কামালের আরেক উদ্যোগ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই জন, জেএসডির তিন জন, নাগরিক ঐক্যের দুই জন এবং এদের বাইরে জাফরুল্লাহ চৌধুরীও যোগ দেন।

এমএ