ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


কবরস্থানেও ধনী গরীব বৈষম্য!


১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:৩২

রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে প্রতি বছর দশ হাজারেরও বেশি লাশ দাফন করা হয়। এখানের কবরগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমটা সাধারণ কবর। সাধারণ কবর কয়েকমাস পর পর ভেঙে ফেলা হয়। দ্বিতীয়টা ভিআইপি কবর। ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ এ কবর কখনও ভাঙা হয় না।

ভিআইপি কবর গুলোর কোনোটি দামি টাইলস পাথরে মোড়ানো, কোনোটির চারপাশে নানা ফুলের চারা লাগানো রয়েছে। বছরের পর বছর কবরগুলোকে একই রকম দেখা যায়। কবরস্থানের কর্মচারীদের কাছে এগুলো ভিআইপি কবর নামে পরিচিত।

আজিমপুর কবরস্থানের মোহরার মৌলভী মিজানুর রহমান বলেন, ভিআইপি নামে পরিচিত কবরগুলো কেনা বা পারিবারিক কবর। এসব কবরে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের দাফন করা হয়। এ ধরনের কবরের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।

তিনি জানান, এক সময় আজিমপুর কবরস্থানে ৪ ফুট বাই ৮ ফুট আয়তনের কবর বিক্রি হতো। ক্রমবর্ধমান রাজধানী ঢাকায় কবরের চাহিদা বাড়তে থাকায় ১৯৯৩ সালের পর কবর বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন শুধু পরিবারের সদস্যদের কেনা কবরে দাফন করা হয়।

মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে সম্প্রতি আজিমপুরসহ ডিএসসিসি এলাকাধীন সব কবরস্থানে বিনামূল্যে কবর অর্থাৎ লাশ দাফন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জন্য এ সুযোগ থাকলেও ভিআইপি কবর অর্থাৎ যাদের কেনা কবর রয়েছে তাদের জন্য এ সুযোগ নেই।

কবরস্থানের মোহরার মিজানুর রহমান জানান, ক্রয়কৃত ‘ভিআইপি কবরে’ আবারও কবর দিতে গুণতে হয় ১৫ হাজার টাকা। পুনরায় রেজিষ্ট্রেশন ফি হিসেবে এ ফি গুণতে হয়। গত বছর এরকম কেনা কবরে মোট ১৫৭ জনকে পুনরায় দাফন করা হয়।

এদিকে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লাশ দাফন করা হচ্ছে। ১০ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত গত ২৮ দিনে এই কবরস্থানে বিনামূল্যে ৫৮১টি লাশ দাফন করা হয়।

 

এমএ