ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ফেলে দেয়া সন্তান এখন সমাজসেবার ছোটমণি নিবাসে


২১ মে ২০১৯ ০৪:১৬

সংগৃহীত

নেত্রকোনা জয়নগর এলাকায় আমেনা আক্তারের বাসায় পাওয়া সাত দিনের নবজাতকটি এখন সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত ঢাকা আজিমপুরের ‘ছোটমণি নিবাসে’।

সোমবার (২০ মে) শিশুটিকে সেখানে হস্তান্তর করা হয়েছে নেত্রকোনা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে। এর আগে রবিবার দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানা এবং সমাজসেবাকে অবহিত করেন আমেনা আক্তার। 

জানা গেছে, গত ১৩ মে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারী নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর হাসপাতাল ত্যাগ করে জয়নগরস্থ ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পিছনে আমেনা আক্তারের বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখানে রাত্রিযাপন করে শিশুকে ফেলে চলে যায় বলে জানান আশ্রয়দাতা নারী আমেনা। পাঁচদিন তিনি শিশুটিকে লালন পালন করে গতকাল রবিবার থানায় জানালে থানা কতৃপক্ষ সমাজসেবাকে অবহিত করতে পরামর্শ দেন। পরে সমাজসেবা অধিদপ্তর বিষিয়টি উপজেলা নির্বাহীকে জানালে তাৎক্ষণিক নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরি মিটিং ডেকে শিশুটির নিরাপত্তা চিন্তা করে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরে রাতেই ঢাকায় রওয়ানা দিয়ে শিশুটিকে পুলিশ পাহাড়ায় সোমবার ভোরে ঢাকার ছোটমণি নিবাসে রেখে আসে। 

এদিকে আশ্রয়দাতা আমেনা আক্তার জানান, শিশুর জন্মের আগে প্রতিবন্ধী নারী তার বাসায় গিয়েছিলেন। তিনি তাকে হাসপাতালে রেখে আসেন। এরপর চার থেকে পাঁচদিন পর আবার তার বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে ভোরে পালিয়ে গেলে অরো পাঁচদিন তিনি শিশুকে রেখে লালন পালন করেন। পরে রবিবার সমাজ সেবায় হস্তান্তর করেন। 

অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্যে, গত ১৩ মে সন্ধ্যায় শিশুটির জন্ম হলে তার বয়স সোমবার পর্যন্ত মাত্র সাতদিন হয়। 
সদর সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান রবিবার সকালে শিশুটিকে নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের হেফাজতে দিতে এসছিলেন আমেনা আক্তার। 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজিদ জানান, বিষিয়টি সন্দেহ হওয়ায় শিশুটির নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাৎক্ষণিক জরুরি সভা করে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে, ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ দত্তক নিতে চাইলে ঢাকায় আবেদন করলে কোর্টের মাধ্যমে দত্তক নিতে পারবে। 

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম জানান, শিশুর প্রকৃত মা-বাবা খোঁজার কাজ চলছে। এটি কোন অপরাধ কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

নতুনসময়/আল-এম