নিপাহ ভাইরাসে ঠাকুরগাঁওয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও রলিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যুর কারণ ‘নিপাহ ভাইরাস’ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট(আইইডসিআির)।
সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানান সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. খয়রুল কবির।
বাংলাদেশ রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট (আইইডসিআির) এর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কর্তৃক প্রেরিত প্রতিবেদন রিপোর্টের বরাত দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে একই পরিবারে পাঁচজনের মৃত্যু নিপাহ ভাইরাসের কারণে হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞ দল সর্বশেষ মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে যে আলামত সংগ্রহ করেছিল তাতে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফলে বাকি চারজনের মৃত্যুও একই কারণে হয়েছে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অসুস্থ্য আরো পাচজনের শরীরে কোন ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য সোমবার (০৪ মার্চ) চার সদস্যের আরো একটি তদন্ত দল ঠাকুরগাঁও আসবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। তবে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হতে এলাকাবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ রোগে সাধারণত কোন চিকিৎসা নেই, তাই সকলকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে খেজুরের রস না পান করা ও কূলসহ অন্যান্য ফলমূল খাওয়ার ব্যপারে সচেতন থাকা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.শাহজাহান নেওয়াজ, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা তোজাম্মেল হক প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামের আবু তাহের (৫৫) হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। এর ১৫ দিনের মধ্যে তার দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০), মেহেদি হাসান (২৪), মেয়ে হোসনে আরা (৩৫) ও জামাতা হাবিবুর রহমান (৪৫) মারা যান।