ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল


১৫ জানুয়ারী ২০১৯ ০৫:২৪

ফাইল ফটো

দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেবিন ব্লকের উত্তর পাশে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ১১ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।

গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর দেশে সেন্টার বেইজড চিকিৎসা সেবা চালু করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে উন্নীত করার এ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জনগণের জন্য বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি নির্মাণের প্রকল্প গৃহীত হয়।

কারিগরি সহযোগিতার পাশাপাশি কোরিয়া সরকার হাসপাতালটি নির্মাণে সহজ শর্তে প্রায় ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকার সহায়তা করছে। এই হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সেন্টার বেইজড হেলথ কেয়ার ডেলিভারি সিস্টেম চালু হবে।

হাসপাতালটিতে প্রত্যেকটি সেন্টারের জন্য নির্দিষ্ট বহির্বিভাগ চালু থাকবে। এখানে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে সেবা নেবেন ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার রোগী।

ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টারটি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা দিতে সক্ষম হবে। অত্যাধুনিক সার্জারিসহ থাকবে লিভার ও কিডনি ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট সুবিধা।

হাসপাতালের অর্ন্তবিভাগে প্রতিবছর ২২ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে পারবেন। এতে দেশের বাইরে সাধারণত চিকিৎসার জন্য যে ৩০০-৪০০ কোটি টাকা চলে যায়, তা সাশ্রয় হবে।
এর তথ্য সিস্টেম এবং হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। ভিআইপি ও ভিভিআইপি কেবিন থাকবে হাসপাতালটিতে।

প্রকল্পের আওতায় প্রথম ফেজে দুইটি বেইজমেন্টসহ ৯ তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় ফেজে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরবর্তী দুই তলা নির্মাণ করা হবে।

১১ তলা হাসপাতাল ভবনটিতে থাকবে মোট ১০০০ শয্যা। দেশের প্রথম সেন্ট্রাল বেইজড চিকিৎসা সেবা চালু হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে। সেন্টার বেইজড চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

নবনির্মিত হাসপাতালের প্রথম ফেজে থাকবে ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, কার্ডিয়াক অ্যান্ড সেলুলার ভাস্কুলার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস সেন্টার।

দ্বিতীয় ফেজে থাকবে অপথ্যালমোলজি সেন্টার, ডেন্ট্রিস্টি, ডার্মাটোলজি, মেডিসিন, সার্জারি বিভাগ সমূহ।
নবনির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি হবে রোগীবান্ধব একটি সবুজ হাসপাতাল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ হাসপাতাল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিশ্চিত করবে সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্য সেবা।

বিএসএমএমইউ'র জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত মজুমদার জানান, আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিতব্য হাসপাতালটিতে রাখা হয়েছে সবুজ আরোগ্য উদ্যান ও সোলার প্যানেলও। সুপার স্পেশালাইজড এ হাসপাতাল স্বাস্থ্য সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

নতুনসময়/এসএ/আইএ