ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


শীতকালে রূপ সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করণীয়, যেসব খাবার জরুরি


৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০৪

শীতকাল মানে যেমন আনন্দ তেমনি যেন বাড়তি চিন্তা। এই বাড়তি চিন্তা আসে রূপ ধরে রাখা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে। কারণ শীতকালে ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক, অমসৃণ ও খসখসে। তাই ত্বকের বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও রূপচর্চা।

শীতকালে যা খাবেন:

১. সকালে ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে পানি খাবেন।

২. শীতের সকালে হাটার অভ্যাস করুন। এতে আরাম লাগবে এবং বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

৩. সকালে খাদ্যতালিকায় ওটমিল / লাল চিড়া, চাম্পা কলা, টক দই / লাল আটার সাথে ডিম পোচ ও শীতকালীন শাক-সব্জি খাবেন। কারন সকালের খাবার আপনার শরীরের শক্তি যোগাবে।

৪. মধ্য সকালে শীতকালীন ফল-মূল যেমন জাম, লিচু ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ ফল মুখের ত্বককে উজ্জ্বল করবে।

৫. দুধ চায়ের বদলে লাল চা, গ্রীন টি বা ব্ল্যাক কফি খাবেন যা আপনার অলসতা কাটাতে সাহায্য করবে।

৬. এই সময়ে বেশি করে শীতকালীন শাক-সব্জি খাবেন কারণ আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ফাইবার শাক-সব্জী থেকে পাবেন যা ত্বকের শুষ্কতা কমাবে।

৭. আমিষ হিসাবে মাছ, সাদা মাংস এবং ডিম খেতে পারেন। তবে যারা একটু বয়স্ক শীতকালে লাল মাংস এড়িয়ে চলবেন।

৮. ক্রুসিফেরাস গোত্রের সবজি যেমন ব্রোকলি, ফুলকপি, বাধাকপি ব্লাঞ্চিং করে খেতে পারেন। তবে থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীরা এটি থেকে দূরে থাকুন।

৯. ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাল্কা কুসুম গরম দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। যারা দুধ হজম করতে পারেন না তারা টক দই খেতে পারেন।

১০. বাড়তি তেল, চর্বি, মশলাযুক্ত খাবার, বাড়তি চিনি, লবন এড়িয়ে চলুন কারণ শীতকালে আরামপ্রিয় মানুষদের দেহে এমনিতেই বাড়তি মেদ জমে যায়।

ত্বকের যত্ন যেভাবে নিবেনঃ

১. সকালে উঠে ভাল ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজার মুখে মাখুন।

২. হাতের কাছে যে ফল থাকবে সেটির রস করে তুলার সাহায্যে মুখে আলতোভাবে দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে মুখটি ধুয়ে ফেলুন।

৩. শুষ্ক ত্বকে মধু, ময়দা, ভিটামিন ই ও টক দইয়ের মিশ্রণ মুখে ২০-২৫ মিনিট রেখে মুখ পরিষ্কার করুন এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবন্যতা বাড়বে।

৪. দৈনিক একবার গোসল করুন। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা শীতকাল আসলে নিয়মিত গোসল করেন না এতে শরীর কড়া হয়ে যায়।

৫. শীতের সকালের রোদ শরীরের জন্য ভাল যা বাচ্চাদের দেহে ভিটামিন ডি তৈরি করে। তবে অতিরিক্ত রোদ এড়াতে সান্সক্রিন লোশন, ক্রীম ও পাওডার ব্যাবহার করুন।

৬. সপ্তাহে অন্তত দুবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন।

৭. যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক শরীরে লোশনের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল ব্যাবহার করুন।

৮. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার ক্রীম ব্যবহার করুন।

৯. নিয়মিত ঘরোয়া পদ্ধতিতে বা পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করুন।

১০. নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করুন।

১১. চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে মাসে অন্তত দুবার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিন।

১২. মাসে দুবার হাল্কা কুসুম গরম পানিতে লেবু, শ্যাম্পু দিয়ে ১৫ মিনিট হাত পা ভিজিয়ে রাখুন।

১২. নিয়মিত পানি পান করতে ভুলবেন না।

 

এমএ