ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: স্বাস্থ্য মহাপরিচালক


২০ জুন ২০২০ ০৩:২৯

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির স্থায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের একটি বক্তব্য সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

তবে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ দাবি করেছেন, তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনেকে না বুঝেই সমালোচনা করছেন। তিনি যা বলেছেন সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয়, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সমন্বয় ডা. মো. জাহশির কবির শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সেখানে বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসে মহাপরিচালক ডা. আজাদ বলেছেন, স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় এবং বিশ্বের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ বিশেষজ্ঞগণের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি সারাবিশ্বে এক দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। একটি সফল টিকা আবিষ্কার এবং পর্যাপ্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সফল প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে করোনার অস্তিত্ব থাকবে। ফলে এটি এক বছরের বেশি এমনকি দুই বা তিন বছর বা এরও বেশী সময় স্থায়ী হতে পারে। যদিও আমরা মনে করি, সংক্রমণের মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে।

মহাপরিচালক বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল এবং অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অপরপক্ষে করোনা ভাইরাসও একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাস। এ কারণে অসতর্ক চলাফেরা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চললে এ দেশে সংক্রমণের হার মোকাবেলা করা কঠিন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখলে কর্মহীনতা, আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়া এবং অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণেও ব্যাপক অপুষ্টি, রোগবালাই ও মৃত্যু ঘটতে পারে। সে কারণে জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, পরে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমনের উচ্চহার কমে আসতে পারে। কিন্তু করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করলে অনেক লুক্কাযিত এবং মৃদু কেসও শনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যায় পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে।