ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২

নেপালে অতিবৃষ্টির বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১১২


২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১১

ফাইল ফটো

নেপালে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১২ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। এদিকে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

রাত ১০টা ৩০ মিনিটে জারি করা দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ৯৯ জন নিহত, ৬৮ জন নিখোঁজ এবং ১০০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের স্থানীয় সংবাদদাতাদের দ্বারা পাওয়া তথ্য এবং নেপাল পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদর দফতরের সূত্রে নিশ্চিত হওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশব্যাপী ১১২ জন মারা গেছে।

 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ললিতপুরে কমপক্ষে ২০ জন, ধাদিংয়ে ১৫ জন, কাভরে ৩৪ জন, কাঠমান্ডুতে ১২ জন, মাকাওয়ানপুরে সাতজন, ভক্তপুর ও পাঁচথারে পাঁচজন, সিন্ধুপালচোকে চারজন, দোলাকায় তিনজন, ধনকুটায় দুজন, সোলুখুম্বু ও রামেছাপ, মহোত্তারি এবং সুনসারি জেলায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের মতে, পাঁচথার, ঝাপা, মহোত্তারি, কাঠমান্ডু, ললিতপুর, কাভরে, সিন্ধুলি, ধাদিং, সিন্ধুপালচোক, দোলাখা এবং রূপানদেহি জেলায় অন্তত ৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

 

বন্যা এবং ভূমিধস দেশের অনেক অংশে জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করেছে, অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার প্রসারণ ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন।

 

মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো পানিজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঠমান্ডু উপত্যকায় কমপক্ষে ৩৭ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডুর সঙ্গে সংযোগকারী সমস্ত হাইওয়ে এবং সড়ক বিভাগগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

 

কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালে দেশটিতে প্রথম বৃষ্টিপাত পরিমাপ এবং রেকর্ড করার ব্যবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।